নাছির উদ্দীন রাজ, (টেকনাফ৭১)
করোনা ভাইরাস আক্রমণ থেকে দেশের মানুষ কে বাচাতে যখন এক যোগে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায়, ঘরে অবস্থান নিশ্চিত,চলাফেরা সহ সব কিছুর উপর যখন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে সময়ে টেকনাফের বাহার ছড়ায় ৮নং ওয়ার্ডে একজন আম/পান ব্যবসায়ির ব্যক্তির কাছে করোনা পজেটিব পায় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। সাথে সাথে সেই মহামারী পরিস্থিতি থেকে এলাকা বাসি কে রক্ষা করতে আক্রান্ত ব্যক্তির নিজ বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে টেকনাফ হাসপাতলে আইসোলেশন রুমে নিয়ে আসে। পরে ঐ এলাকাকে নিয়ম অনুযায়ী লকডাউন করেদেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনসুর। কিন্তুু যেতে নাযেতে ও লকডাউনের নির্দিষ্ট দিন না ফুরাতে লাকডাউনের নির্দেশিত নির্দেশ বহনকারী লাল পতাকা গুলো অদ্য ২১/৪/২০২০ইং আছরের সময় স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার পেটান কাদেরে ছেলে শহিদুল্লাহ রাস্তা থেকে ফেলেদেন। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার টিটু চন্দ্র শীল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময় পার না হতে কেউ যদি ওই নির্দেশনা ফেলে দেন তা আইনগত অপরাধ। অন্যদিকে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবুল মনসুর বলেন, টেকনাফ কে করোনা আক্রমণের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে আক্রান্ত ব্যক্তির স্থানে নিয়ম অনুযায়ী লকডাউন করা হয়েছে, কেউ যদি ওই চিহ্ন নির্দিষ্ট দিনের ভিতরে আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে রাস্তা থেকে ফেলে দেন, তা দণ্ডনীয় অপরাধ। যদি কেউ করে থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে চৌকিদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্থানীয় মৃত মনজুরের ছেলে নজিরের সাথে লকডাউন মানা নামানার বিষয়ে কথা কাটাকাটা হয়, তাই আমি রাগের বশত ঐ নির্দেশনা ফেলেদি। স্থানীয়দের অভিযোগ কেউ আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তা উপরমহল কে জানাতে পারতেন, তা না করে নিজে আইন কেন হাতে নিয়েছেন তা প্রশ্ন থেকেই গেল।
Leave a Reply