নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার কুরুববন এলাকার কুখ্যাত ইয়াবা মাদক চোরাকারবারী ফরিদ আলমের ইয়াবা বানিজ্য দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে। ফরিদ একসময় ভুট্টো বাহিনীর সদস্য হয়ে কাজ করতেন বলে আমরা জানতে পারি। ফরিদ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকায় ইয়াবার যোগান দিয়ে থাকে। ক্রাইম ডিসকভারির অনুসন্ধানী টিমকে এলাকাবাসী বলেন যে, ফরিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে নওগাঁ জেলার মাসুদ রানা ওরফে ইয়াবা রানা এবং যশোরের শহিদুল ওরফে মোল্লা শহিদুল। রানা রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করে টেকনাফ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে এবং ঢাকার ইয়াবা কারবারীদের সাথে যোগাযোগ করে আর্থিক লেনদেন সম্পাদন করে।
আরও জানা যায় যে, রানা অভিযান শুরুর পর থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছে এবং ইয়াবা বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এই ফরিদ আলম ইয়াবার কারবার করে অল্পদিনেই গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। সে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে কখনও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করেন আবার কখনও বা সাবরাং এর মন্ডলপাড়ায় অবস্থান নেয় এবং সেখানে বসেই তার ইয়াবার চালান ঢাকায় পাঠানো হয়। আমরা অনুসন্ধানপূর্বক আরও জানতে পারি যে, ফরিদ আলমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে।
এলাকাবাসীর আশংকা স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি তাকে যদি আইনের আওতায় না আনতে পারে তাহলে সে একদিন ভূট্টুর মতো হয়ে উঠবে। তাই এলাকাবাসী প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সূত্র ক্রাইম ডিসকভারির
Leave a Reply