আমিরুল ইসলাম রাশেদ::কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্ত পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী ৩শত ৮টি পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষে জি.আর. চাউল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম। বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উপকারভোগীদের মাঝে এসব চাল সুষ্ট ও সুচারুভাবে উপজেলা পি আই অফিস কর্তৃক নির্ধারিত ট্যাগ অফিসার উপজেলা এল জি ই ডি ইঞ্জিনিয়ার জাহেদুল আলমের প্রতিনিধি ওয়ার্কস্ট্যান্ড সাইদুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি সাংবাদিক জালাল উদ্দিন ও ইউপি সদস্য জিয়াউল হক সিকদার উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়।চলমান মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া হত-দরিদ্র পরিবারগুলোর কষ্টের কথা বিবেচনা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ চাল বরাদ্ধ দেন। বরাদ্ধকৃত এসব চাল নিতে আসা উপকারভোগীদের অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন তাদের দূঃখেরদিনে চাল দিয়ে দুঃখের ভাগিদার হয়ে আবারো প্রমাণ করলেন তিনিই আমাদের মা-বাপ অর্থাৎ আমাদের ত্রাণকর্তা। শেখ হাসিনা সরকারে না থাকলে আমাদের যে কি হত তা একমাত্র আল্লাহই জানে।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব মোজাহেরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য-সদস্যাগণ, আওয়ামীলীগনেতা আকতার,অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম,তথ্যসেবা কেন্দ্রের সাইফুল ইসলাম রোবেল প্রমূখ।
চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন দফায় দেয়া ত্রাণ যথাযথ নিয়ম মেনে প্রকৃত উপকারভোগীদের মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।সর্বশেষ বরাদ্ধ দেয়া জি আর চালের মাধ্যমে আমার ইউনিয়নের বসবাসরত শতভাগ পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।আমার ইউনিয়নে প্রায় শতভাগ পরিবারের মাঝে সরকারের সুযোগ-সুবিধাগুলি পৌঁছে দিতে পারায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উজানটিয়াবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।পাশাপাশি চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি জননেতা জাফর আলম সাহেবের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আশাকরি ভবিষ্যতেও দূর্যোগময় সময়ে উজানটিয়া ইউনিয়নবাসীর প্রতি তাদের সদয় দৃষ্টি থাকবে।
Leave a Reply