মোঃ আরাফাত সানী::টেকনাফে সৎ ছেলের নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধু ঘরছাড়া হবার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধু জাহেদা বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ইয়াবা মামলার পলাতক আসামী জাদিমুরা এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ তৈয়ুব (৪২),মোহাম্মদ তৈয়ুবের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান (১৮), সরওয়ার কামাল (২১), মোহাম্মদ হোছনের মেয়ে ছেতেরা বেগম (৪০), মৃত বশির আহমদের ছেলে মোঃ হাছন (২৬)কে অভিযুক্ত করে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে গভীর রাত ৩ টার দিকে নিজের সৎ ছেলে মোহাম্মদ রফিক এর নেতৃত্বে অভিযুক্তরা রাতের আধাঁরে বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে দু’সন্তান ও পুত্রবধুসহ বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের মারধর করে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে বাড়ীটি দখলে নিয়ে নেয়। এরপর হতে গৃহবধু জাহেদা বেগম অন্যের বাড়ীতে আশ্রয়ে রয়েছে। বিবাদীরা বাড়ীতে গেলে তাদেরকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে জাহেদা বেগম সাংবাদিকদের জানান- বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার স্বামীর প্রবাস থেকে পাঠানো টাকায় ভোগদখলীয় ১ কানি জমি জোরপূর্বক মারধর করে দখলে নেয় এবং আমাকেসহ পুত্রবধু, কন্যা সন্তানকে ঘর থেকে বের করে দেয় ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। আমাদের থাকার কোন ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অন্যের বসতবাড়িতে অবস্থান করছি। পরেরদিন আমার ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর ঘরে তালা দেখে সৎ ভাই মোহাম্মদ রফিকের কাছে কারণ জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘরের সামনে বাকবিকন্ডা হয়। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক কৌশলে ইয়াবা পাচারকারী সাজিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অধিকতর তদন্ত করে সঠিক ঘটনা উদঘাটনের দাবী জানান।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়- জাদিমুরা এলাকার প্রবাসী আবুল খাইরের পুত্র মোহাম্মদ রফিক উশৃংখল ও বখাটে যুবক। অন্যান্য অভিযুক্তরা মাদক ও মানব পাচারে অভিযুক্ত। তারা সন্ত্রাস, উশৃংখল প্রকৃতির হওয়ায় তারা দেশের প্রচলিত আইন কানুন কিছুই মানে না। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply