টেকনাফ ৭১ ডেস্ক:
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
নতুন করে আসা বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গাদের কারনে ইয়াবা ব্যবসা বা পাচার বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিকে বেশ ইয়াবা ব্যবসায়ি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাব- ১৫ এর সিও, উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, পিপিএম(বার), পিএসসি,জিডি (পি)।
২৬ জুলাই সকালে র্যাব-১৫’র কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে এ মন্তব্য করেন।
র্যাব- ১৫ এর সিও, উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, পিপিএম(বার), পিএসসি,জিডি (পি) আরো বলেন, গত ১৬ মাসে ইয়াবা মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় অব্যাহত ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। তবে দুঃখ জনক হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা যে পরিমান কমার কথা সে পরিমান কমেনি বরং পাইকারী এবং খুচরা পর্যায়ে আরো বাড়ছে এতে আমাদের প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে আমাদের সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবন্ধ থেকে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি মাদক ব্যবসা বাড়ার পেছনে রোহিঙ্গাদের বড় ভুমিকা আছে এছাড়া দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে ইয়াবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারনে ইয়াবা পাচার বাড়ছে এবং বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন সেক্টরের কারনেও ইয়াবা ব্যবসা কমছেনা বলে মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি জেলা পুলিশের ঘোষণা ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মাদকমুক্ত করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করে বলেন,আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় মাদক নির্মূলে কাজ করছি আমরা সবার সাথে সহযোগিতা করে কাজ করতে চায়।
এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে র্যাব কর্মকর্তাদের জানানো হয়, ইদানিং সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার কমে আসলে নতুন আসা রোহিঙ্গারা মায়ানমারের সমস্ত পথঘাট জানা থাকায় তারা মাদক পাচার করছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার বন্ধ করা, মিয়ানমারের সিম ব্যবহার বন্ধ করা, মাদকের সাথে পৃষ্টপোষকতাকারী জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধের তালিকা প্রকাশ সহ তাদের বিরুদ্ধে আইন পদক্ষেপ নেওয়া এবং মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা কারখানা বন্ধে আর্ন্তজাতিক ভাবে কাজ করা এবং গ্রাম পর্যায়ে অভিযান জোরদার করার দাবী জানান।
মত বিনিময় সভায় র্যাব-১৫’র মেজর মেহেদী হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার বিমান চন্দ কর্মকার সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে কক্সবাজার এবং উখিয়ার বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply