1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হোয়াইক্যংয়ে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উত্তরণ এনজিওর কার্যক্রম পরিদর্শন উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন-প্রদর্শনে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা আওয়ামীলীগ নেতার ছেলেকে দিন-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাস্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পেশ নাফ নদীর ওপারে মর্টারশেল ও গুলির বিকট বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে জান্তা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল আরাকান আর্মির মোস্তাক হত্যার টানা ২০ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পুলিশের রহস্য উদঘাটন সহ আটক ৬ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট ছয় ভোটে স্ত্রী শাহিনা আক্তার’কে হারালেন আব্দুর রহমান বদি ! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করবে ছাত্রলীগ

পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন–Teknaf 71

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০
  • ৫৮৫ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি::কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় ডকুমেন্টারি ফিল্মের শ্যুটিং শেষে ফেরার পথে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোষ্টে সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা মোঃ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত।

সেনাবাহিনীর ‘এএসইউ’র সার্জেন্ট আইয়ুব আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গুলিবিদ্ধ মেজর সিনহার ছবি তুলতে চাইলে তার পরিচয়পত্রসহ মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় পুলিশ। সরকারের একটি সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নির্মিতব্য ভ্রমণ সহায়ক একটি ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ের কাজ করছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। গত ৩ জুলাই ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিল্ম এন্ড মিডিয়া’ বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে শ্যুটিংয়ের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় যান তিনি। প্রায় ১ মাস যাবত বিভিন্ন এলাকায় চিত্র ধারণ শেষে গত ৩১ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে এক শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে পাহাড় থেকে ফেরার পথে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের ‘ডাকাত’ সন্দেহ করে পুলিশকে অবহিত করে।

পাহাড় থেকে নেমে মেজর সিনহা এবং তার সাথে থাকা সিফাত নামের শিক্ষার্থী নিজস্ব প্রাইভেট কার নিয়ে মেরিন ড্রাইভ হয়ে কক্সবাজার জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।

পথে শামলাপুর বিজিবি চেকপোষ্টে তাদের তল্লাশী করা হয় এবং পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু রাত ৯ টায় শামলাপুর পুলিশ চেকপোষ্টে পৌঁছার সাথে সাথে এসআই লিয়াকত তাদেরকে থামান। এসময় মেজর সিনহা তার পরিচয় দিলে প্রথমে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন লিয়াকত। কিন্তু পুনরায় গাড়িটি থামিয়ে মেজর সিনহা এবং সিফাতের দিকে পিস্তল তাক করে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে কোন কথাবার্তা বলার সুযোগ না দিয়েই সিনহার বুকে পর পর তিন রাউন্ড গুলি করেন লিয়াকত।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গুলি করার পর রাত আনুমানিক ৯ টা ৪০ মিনিটে স্থানীয় লোকজন এবং সেনাবাহিনীর ‘এএসইউ’র একজন সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেজর সিনহাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এএসইউ’ র ওই সদস্য নিজের পরিচয় দিয়ে সিনহার গুলিবিদ্ধ অবস্থার একটি ছবি তুলতে চাইলে তার পরিচয়পত্রসহ মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের একটি মিনি ট্রাকে করে রাত ১ টা ৪৫ মিনিটে মেজর সিনহাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, মেজর সিনহার সাথে থাকা শিক্ষার্থী সিফাতকে আটক করে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে, তাদের গাড়ি থেকে ইয়াবা এবং গাঁজা উদ্ধার করা হয়ে। এছাড়া তাদের হোটেলের কেবিনেও দেশি-বিদেশি মদ ও গাঁজা পাওয়া গেছে।

তদন্ত কমিটি:

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তাদের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিবেন।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশর সুপারের মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার মনোনীত একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি। ঊর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল শনিবার (১ আগস্ট) মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহে এলিদ মাইনুল আমীন স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ সদর দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার বাবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মোঃ এরশাদ খান একজন মুক্তিযোদ্ধা। অবসর গ্রহণের পর থেকে মেজর সিনহা ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ভিডিও তৈরি করতেন।

এদিকে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর রাজউক কলেজের বন্ধুরা। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তানভীর অপু নামের একজন তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি হতবাক, শোকে বাকরুদ্ধ। যে উচ্ছল মানুষটি শুধু ভ্রমণ করার জন্য, দুনিয়া দেখার জন্য সেনাবাহিনীর মেজরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে জীবনে চলতে চেয়েছিলেন নিজ পথে, তাকে এভাবে হত্যা করা হলো।

সাবেক এসএসএফ অফিসার, কমান্ডো ট্রেনিং পাওয়া আমাদের এত কাছের বন্ধুটা এত ভালো মানুষ ছিলো, আর তাকে নিয়ে এখন এত রটনা –

১. মেজর (অব:) রাশেদ uniform নয় বরং ছিলেন combat কালার T- shirt প্যান্টে এ

২. তার কাছে তার লাইসেন্স পিস্তল ছিলো।

৩. তিনি ইউটিউবে একটা show একটা শুটিং এ সেখানে ছিলেন।

৪. নিজের পরিচয় retired major দেবার পর তিনি গাড়ি থেকে নামেন। এবং তখন আগে থেকেই উপস্থিত ইন্সপেক্টর লিয়াকত গুলি চালান, যেটা প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সংস্থা জেনেছে।

৫. এর আগে পাহাড়ে শুটিংয়ের সময়ে স্থানীয় তিন / চার জনের সাথে তিনি সাউট করে চলে যেতে বলেন।

এই ঘটনার পিছনে সত্য উদঘাটন হোক।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর