প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
১৪৪১ হিজরীকে বিদায় এবং আরবী নতুন বছর ১৪৪২ হিজরীকে বরণ উপলক্ষে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন Light of islam..
বাংলা, ইংরেজী নববর্ষের পাশাপাশি আরবী নববর্ষকে বরণ করা মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। বাঙালী হিসেবে বাংলা সংস্কৃতি এবং মুসলিম হিসেবে ইসলামী সংস্কৃতিকে ব্যক্তি-জীবনে ধারণ করা প্রত্যেকে মানুষের উচিত।
ইসলামের পূর্বে দিন-তারিখ গণনার জন্য আরবদের এমন কোন ঐতিহাসিক উৎস ছিল না যাকে কেন্দ্র করে তারা কয়েক দশক বা শতাব্দীকে চিহ্নিত করতে পারত। অবশ্য তারা তারিখ গণনার জন্য এক দশক বা কয়েক দশকের মধ্যে ঘটমান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহকে উৎস করে তা কেন্দ্রিক সাময়িক তারিখ গণনা করত। যেমন আবরাহার হাতি বাহিনীর মাধ্যমে মক্কা শহরে হামলা ও কাবা ঘর সংস্কারের বছর যা “আমুল ফী-ল বা হাতির বছর” নামে খ্যাত, কয়েক যুগ পর্যন্ত তারিখ গণনার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়তের প্রচারের সময় যখন তিনি দারুল আরক্বাম বা আরকামের বাসায় যান, তা তারিখ গণনার উৎস হিসেবে পরিণত হল।
পরবর্তীতে (৬২২ খ্রিস্টাব্দ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মক্কা মুকাররমা থেকে মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরতকে অবিস্মরণীয় করতে হিজরতের ১৭’তম বর্ষে (৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দ) দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ইসলামী ইতিহাসের সূচনা নির্ধারণের জন্য ইসলামী বর্ষপঞ্জি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
Leave a Reply