এম,জুবাইর হোছাইন,সেন্টমার্টিন থেকে
কক্সবাজার টেকনাফ ঘাটে ফিশিং বোটের ধাক্কায় সেন্টমার্টিন গামী স্পীড বোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
৮ ই সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ২ ঘটিকায় সময় কে কে খালে এ ঘটনা ঘটে। এতে রশিদা বেগম (৫৮)স্বামী মোহাং বাডু ও মেহের নিছা (৬০) স্বামী আব্দুল জলিল নিহত,সুমাইয়া আক্তার (৭) নিখোঁজ রয়েছেন।
জানা যায় প্রত্যেক দিনের ন্যায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে আসার জন্য পুর্ব পাড়ার বাসীন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন স্পীড বোটে ৪ জন মহিলা সহ ১১ জন যাত্রী উঠেন। চালক ছিলেন মোহাম্মদ গণির ছেলে মোহামদ কায়সার (২৮)!
কে কে খাল থেকে বের হওয়ার পথে টেকনাফগামী ফিশিং বোটের সাথে ধাক্কা লেগে স্পীড বোটটি উল্টে যায়। এতে সেন্টমার্টিন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের স্ত্রী মেহের নিছা (৬০) কক্সবাজার নেওয়ার পথে মৃত্যু বরন করেন।একই এলাকার বাসিন্দা মৃত্য মোহাং বাটুর স্ত্রী রশিদা বেগম টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যায় এবংপশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আয়াছের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৭) নিখোঁজ রয়েছে।
আহত পুর্ব পাড়ার বাসিন্দা জামাল হোসেনের স্ত্রী বেগম বাহার এবং মোহাম্মদ আমিন টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি টেকনাফ কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ জুবাইর জানান টেকনাফ ঘাট থেকে উক্ত স্পীট বোটটি দুপুর ২ ঘটিকায় শিশুসহ১১ জন যাত্রী নিয়ে কে কে খাল বিজিবির চেক পোষ্ট অতিক্রম করে যাওয়ার পথে জেটির উওর পাশে ফিশিং বোটের সাথে ধাক্কায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশু নিখোঁজ সহ ২ জন মহিলা মারা যায়। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত মোহাম্মদ আমিন জানান অতিরিক্ত যাত্রী ও চালক মাদকাসক্ত হওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে আমি মাকে হারিয়েছি। আমি তদন্ত পুর্বক সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মোহাম্মদ আয়াছ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমার মা ওমেয়ে সুমাইয়া কয়। সে বার বার অঙ্গান হয়ে যায়। দ্বীপ বাসীর দাবী দক্ষ চালক চাইও মাদকাসক্ত চালকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হউক।
Leave a Reply