মোঃ আরাফাত সানী::সরকারের রূপকল্প ২০২১-এর অন্যতম লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এই ১২ বছরে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সেবামুখী বহু ডিজিটাল সেবা পৌঁছে গেছে গ্রামে গ্রামে। তবে দুর্নীতি রোধ ও সুশাসনের জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। একশ্রেণির কর্মকর্তার অনীহায় এখনও বেশিরভাগ সরকারি অফিসে ই-ফাইলিং কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়নি। ফলে আগের মতো হাতেকলমেই চলছে ফাইলের কাজ। এতে করে প্রশাসনে জিইয়ে রয়েছে লালফিতার দৌরাত্ম্য। অনেক ফাইলের হদিসও মিলছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু হলে ফাইল আটকে রেখে দুর্নীতি করার পথ কমে যাবে। সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে ফাইল। সরকারি তথ্যমতে, ৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ সরকারি অফিসে এখনও ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরুই হয়নি। আর হাতেগোনা যেসব অফিসে তা চালু হয়েছে, সেখানে গতানুগতিক কাজ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোনো নথি ই-ফাইলিং করা হচ্ছে না।
তারই ধারাবাহিকতায় সীমান্ত উপজেলা টেকনাফেও দু’দিন ব্যপী ই-ফাইলিং ওয়েব পোর্টাল কার্যক্রম দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা টেকনাফ উপজেলা মিলনায়তনে ২৫/২৬ (সেপ্টেম্বর) দু’দিন ব্যাপী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে, উপজেলার পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ টেকনাফ (UEDP) সহযোগিতায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার (মিলি) প্রমুখ।
সভায় ইলেকট্রনিক নথি পত্র/ই-ফাইলিং এর বিষয়ে উন্নয়ন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
Leave a Reply