বিশেষ প্রতিনিধি
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের কালামীয়ার পুত্র রাজ মিস্ত্রি নুরুল আলম চট্টগ্রামে খুন হয়েছে। নিহতের মা দিলোয়ারা জানায়, আমার ছেলে নুরুল আলম কে গত ২৩/৯/২০ইং(সোমবার) রাজ মিস্ত্রি কাজের জন্য বলে পশ্চিম লেদার (শিয়াল ঘোনা) এলাকার ইউছুফ আলীর ছেলে ফরিদ আলম বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে কাজনিয়ে সমজতা হলে কাজে যোগদান করার নিমিত্তে বাড়িতে এসে মায়ের কাছ থেকে নিজের জন্ম নিবন্ধন ও কাপড়-চোপড় নিয়ে বের হন। কিন্তুু সে বের হওয়া যে শেষ বারের মতো হবে তা কি কেউ জানে! কয়েকদিন পরে( বৃহস্পতিবার) রাতে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা হতে একজন এস আই নুরুল আলমের পরিবারের কাছে ফোন করে বলে, নুরুল আলম আপনাদের কি হয় বলে পরিচয় জানতে চাই। তখন মা দিলোয়ারা বলে সে আমার ছেলে, কাজের জন্য চট্রগ্রামে নিয়েছেন দুই তিনদিন হয়েছে। মানবিক পুলিশ অফিসার বলেন, আপনার ছেলেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছি, আপনাদের পরিবার হতে অভিভাবক আসেন চট্টগ্রামে। তখন অভিভাবকেরা গিয়ে দেখে নুরুল আলমের নিথরদেহ পড়ে আছে হাসপাতালের বারান্দায়। তাহার শরীরে এমন পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়েছে যা বলার নয়। নিহতের ভাই খোরশেদ আলম জানান, ইউসুফ আলীর ছেলেদের সাথে তাহার মেয়ে জামাই এরমধ্যে ইয়াবার এক টা বড় চালান আত্মসাদের ঘটনা ঘটেছে।জামাই বলে আমার ইয়াবা কে আত্মসাৎ করেছে, হয় তাকে এনে দাও না হয় আমার টাকা দিয়ে দাও এরকম তর্কবিতর্কের জন্ম দেন শালা ও দুলাভাই এর মধ্যে। যার কারণে তাহারা নিজেরা বাচার জন্য আমার ভাইকে নিয়ে তাদেরকে বলির পাঠা বানিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় ফরিদ আলম, জাফর আলম, ফুরকান সকলের পিতা ইউছুপ আলী ও মাজেদের জানাই জামাল সহ ৫জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ৭/৮/৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মর্জিনা আক্তার বলেন, সে একটি অসহায় পরিবারের সন্তান, তাহার মা ভিক্ষা করে দুই তিনটি সন্তান বড় করেছেন। তাদের মধ্যে একজন রাজমিস্ত্রি নুরুল আলম। আমি এই নিরীহ ভিক্ষুক পরিবারের সন্তান কে যাদের মারফতে হত্যা করা হয়েছে তাদের যথাযথ আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী করছি।
Leave a Reply