1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ওসির আশির্বাদে বদলির পরেও টেকনাফে বহাল মোশাররফ! অবশেষে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু নয়াবাজার ঘর পোড়া মামলায় আমির হামজা কে মিথ্যা ভাবে আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ টেকনাফে সাগরে দুই শিশু গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টার পর মৃতদেহ উদ্ধার জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি টেকনাফ উপজেলার সভাপতি- তৈয়ব, সম্পাদক- রহমত উল্লাহ টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে গিয়ে ১ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ জামেয়া দারুসসুন্নাহ ফারেগীন পরিষদের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হত্যাকান্ড কে পুঁজি করে যুবদল নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ : মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণকারীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত ৫ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে অনুষ্ঠিত হল বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা

টেকনাফে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি দখলে : কতৃৃপক্ষ নীরব কেন?

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৭৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ

 

টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের শত শত একর জমি বেদখলে যাচ্ছে। উজাড় হচ্ছে উপকূলীয় বনভূমি। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিঃ মিঃ উপকূলীয় বন ভূমির জমি বেদখলে চলে গেছে এবং উক্তি ভূমির বাগান উজাড় হচ্ছে বলে স্হানীয়দের অভিমত।

উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শে গিয়ে দেখা যায় হোয়াক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের বেশি ভাগ উপকূলীয় বনভূমি বেদখলে। এখানে বাগান কেটে চিংড়ি ঘের, লবন খেত ও রোহিঙ্গাদ ও স্হানীয়দের অবৈধ বসত বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। বিগত ৮/৯ বছর ধরে এ সমস্ত উজাড় কৃত বনভূমিতে নতুন করে বাগান সৃজন করা হয় নি। বরং অতীতের বাগান গুলো ধ্বংস করা হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলায় একটি মাএ উপকূলীয় বন রেঞ্জ রয়েছে। যার প্রধান কার্যালয় টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া এলাকায়। এ অফিসে গিয়ে দেখা যায় বন বিভাগের দায়িত্ব শীল কোন করর্মকতা নেই। কয়েকজন বন প্রহরী বাগান মালিক ও বোট চালকদেরকে দেখা যায়। এদের কাছ থেকে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান স্যারেরা ছুটিতে রয়েছে। এ ছাড়া হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন উপকূলীয় বন বিট কর্মকতাদের বিষয়ে স্ব স্ব স্থানের লোকজনদের সাথে যোগাযোগ করে জানাযায় তারাও কর্মস্হলে প্রায় সময় তাকে না। মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যায়। আবার মাস শেষে বেতন উত্তোলন করে কর্মস্হল ত্যাগ করে। এ ভাবে চলছে টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকান্ড।

উল্লেখ যে, উপকূলীয় বন বিভাগের বোট চালক রয়েছে কিন্তু কোন বিট অফিস ও রেঞ্জ অফিসে কোন বোট নেই বল্লেও চলে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আগমন ঘটে এতে বন বিভাগ ও উপকূলীয় বন বিভাগের ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে গত ২০১৯ -২০২০ অর্থ বছরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় এবং বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে সুফল বনায়ন শুরু করেছে। এতে উপকূলীয় বন বিভাগেও বাগান সৃজন করার লক্ষ্যে বিপুল বাজেট প্রনয়ন করেছে বলে সূত্রে জানা যায়। কিন্তু টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগে এর কোন কর্মকান্ড দেখা যাচ্ছে না বলে স্হানীয়রা জানায়।

কক্সবাজার জেলা প্রতি বছর সরকারি খাস জমির চিংড়ি মহাল ইজারা দিয়ে থাকে। এর সুনির্দিষ্ট চৌহদ্দি থাকে। কিন্তু সু-চতুর চিংড়ি মহাল ইজারাদারগণ উপকূলীয় বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকতাদের সাথে অখিলিত চুক্তি করে চৌহদ্দির পাশের উপকূলীয় বনের জমি গুলো দখলে নিয়ে চিংড়ি চাষ করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপকূলীয় বন রেঞ্জ কর্মকতা সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!