গাইবান্ধায় মহা বিপাকে নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষ লকডাউনে বন্ধ নেই এনজিওর কিস্তি আদায়।
শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ধাপে নোবেল করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ মোকাবেলায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ ই এপ্রিল রাত ১২ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
এ লগডাউনে মহা বিপাকে নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষ বন্ধ নেই এনজিওর কিস্তি আদায়।
কর্মহীন নিম্ন আয়ের পরিবার গুলো, পেটের খিধা সয্য করলেও সয্য করতে পারছেন না ঋণের কিস্তির টাকা।
কিস্তির টাকা নিয়ে মহা চিন্তিত হয়ে পড়েছে এ জেলার নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষ।
লগডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ডেইলি কাজ বন্ধ থাকায় আয় উপর্যন নিয়েও মহা বিপাকে পড়েছেন তারা।
নিম্ন আয়ের মানুষের পেটের খাদ্য ও হাতে কিস্তির টাকা না থাকলে ১০০% লগডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না, বলে ধারণা অনেকের।
সরকারি ভাবে কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা না করা হলে ১০০% লগডাউন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, বলে মন্তব্য সচেতন মহলের ।
সচেতন মহলের ধারণা পেটের খিধা ও কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে সরকারি নির্দেশ লগডাউন না মেনে মাঠে কাজের উদ্দেশ্যে বাহির হতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
লগডাউন সফল করতে, বন্ধ করতে হবে এনজিও ব্যাংকের কিস্তির টাকা আদায়, তাহলেই ১০০% লগডাউন কার্যকর সম্ভব হবে।
দেশের মানুষ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে চায়, লগডাউনের একমাত্র বাধা হয়ে দাড়িয়েছে এনজিও ব্যাংকের কিস্তি আদায়, এমটায় ধারণা করেছেন সুচিল সমাজ।
এখনো এ জেলায় লগডাউনে কিস্তির টাকা আদায় করতে বাড়ির উঠানে দেখা যায়, আশা এনজিও, এসকেএস এনজিওর মতো বেশ কয়েকটি বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠ কর্মী।
গতকাল শুক্রবার বিকালে জেলার কয়েকটি স্থানে চলার পথে লগডাউনে কিস্তির টাকা আদায় নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে দেখা যায় হতাশার সাপ।
এছাড়াও রাতে কিস্তির টাকা উত্তোলনের জন্য সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে এনজিও কর্মী বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়, দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, লগডাউনে কিস্তির টাকা আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হলে, লগডাউনে অনেকটাই জনসাধারণের সমাগম কমে যাবে।
তাই গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে, কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে লগডাউনে কিস্তির টাকা আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হোক।
Leave a Reply