নিজস্ব প্রতিনিধি :- চট্টগ্রাম নগরীতে ৬ তলার অনুমোদন নিয়ে ১২ তলা ভবন নির্মাণ করেছে স্যানমার প্রপার্টিজ লিমিটেড একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। পাহাড়ের টিলায় অবস্থিত এ ভবনের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) কাছে অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার চউকের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হলে বিষয়টি আমলে নেন আদালত। বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্র জানায়, নগরীর খুলশী থানাধীন ইম্পেরিয়াল হিলের ১০৯/সি নং প্লটে ১২ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ করছে স্যানমার প্রপার্টিজ।
এটি উত্তর খুলশী আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত। মঙ্গলবার নির্মাণাধীন ভবনের ভুক্তভোগী প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে মো: শাহাবুদ্দীন আলম চউক আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, ১০-১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তায় ৬ তলা ভবনের বেশি চউক থেকে অনুমোদন দেয়া হয় না। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে ১২ তলা ভবন নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। পাহাড়ের ঢালু জায়গার ওপরের অংশে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় পাহাড় ধস, ভুমিকম্পসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভবনটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আশপাশের অন্তত ১২টি প্লটের মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট মো. ইয়াসিন আরাফাত সাজ্জাদ বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটি সামনের দিকে ৬ তলা করলেও পেছনের দিকে ১২ তলা নির্মাণ করছে আবাসন প্রতিষ্ঠানটি। এতে ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ এর ১২ ধারা এবং সিডিএ আইন ২০১৮ সালের ৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। মামলায় বিবাদীরা হচ্ছেন, স্যানমার প্রপার্টিজ লিমিটেডের পক্ষে চেয়ারম্যান, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম মাসুক হক, প্রজেক্ট ম্যানেজার সেলিম বিন সালেহ, প্রজেক্ট ডিরেক্টর সফিকুর রহমান ও ম্যানেজার (এডমিন) মো. মাইনুল হক।
আদালত বিবাদীদের হাজির হওয়ার সমন দিয়েছেন। এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে চউকে অভিযোগ দেন মো. শাহাবুদ্দীন আলম। ওই অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি চউক। পরে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় গত ২৯ এপ্রিল খুলশী থানায় একটি জিডিও করেন তিনি।
Leave a Reply