1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উখিয়া-টেকনাফের সংসদীয় আসনে এনডিএমের প্রার্থী এড.সাইফুদ্দিন খালেদ নাফ নদীতে ৬৪ বিজিবি’র অভিযান বিপুল পরিমাণ গু*লি ও অ*স্ত্র উদ্ধার  টেকনাফ সদর ইউনিয়ন বিএনপির ৮ ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন: সভাপতি আমিনুর ফরিদ, সা: সম্পাদক লালু প্রকাশিত সংবাদের প্রতি*বাদ ও ব্যা*খ্যায় যা বলেছেন হোয়াইক্যং এর শাহ আলম কাঁকড়া-চিংড়ি’র সাথে আসছে মাদক! শাহ আলমের দেখভালে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ভিডব্লিউবি কার্ড বিতরণে চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রীতি! ক্ষোভে কার্ড ছুড়ে পুকুরে ফেললেন ইউপি সদস্য টেকনাফে সেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত প্রধান অতিথি, সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র: নেপথ্যে প্রথম আলো? টেকনাফে ‘মানবতার দেয়াল’ এখন পুলিশ বক্সের সামনে নদীতে মাছ শিকারে জেলেদের জলসীমা অতিক্রম না করার পরামর্শ ইউএনও’র টেকনাফে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত।

রাজপ্রাসাদে ফিরছে ইয়াবা কারবারিরা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

আমিরুল ইসলাম মো. রাশেদ, কক্সবাজার

দীর্ঘদিন পর কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা কারবারিরা ফিরতে শুরু করেছে তাদের ‘রাজপ্রাসাদে’। মাদকবিরোধী অভিযানের সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া এসব বাড়ি সংস্কার করে তারা বসবাসও শুরু করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। প্রশাসন বলছে, আগের তালিকা অনুযায়ী মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে টেকনাফের লেঙ্গুবিল, হ্নীলা, রঙ্গিখালী নাজিরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারিদের প্রায় ৬০টি রাজপ্রাসাদ ভেঙে দিয়েছিল পুলিশ। ওই সময় বেশিরভাগ প্রাসাদ মালিক পালিয়ে গিয়েছিল। আর কয়েকজন আত্মসমপর্ণ করেছিল। বাকিরা পালিয়ে গিয়েছিল। আত্মসমর্পণকারী ও পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছে, টেকনাফ সদরের লেঙ্গুরবিলের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার নুরুল হক ভুট্টো, টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার এনামুল হক মেম্বার, লেঙ্গুবিলের শাহজাহান চেয়ারম্যান, হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ওয়ার্ডের নুরুল হুদা, হ্নীলার জামাল মেম্বার, তার ছেলে শাহ আজমসহ অর্ধশতাধিক ইয়াবা কারবারি। ইতোমধ্যে জামাল মেম্বারের ছেলে শাহ আজমকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত টেকনাফের লেঙ্গুবিল, হ্নীলা, রঙ্গিখালী নাজিরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০টি রাজপ্রাসাদ গড়ে উঠেছিল। এ ছাড়া ছোট ছোট আরও ৫ শতাধিক প্রাসাদ গড়ে তুলেছিল মাদক কারবারিরা। এসব রাজপ্রাসাদ তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৩ থেকে ৭ কোটি টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের রাজপ্রাসাদের মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, নুরুল হুদার রাজপ্রাসাদ তৈরিতে খরচ প্রায় ৪ কোটি টাকা, নুরুল হক ভুট্টোর বাড়ির দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা হবে। এ ছাড়া বাকি রাজপ্রাসাদগুলোর নির্মাণ ব্যয় দেড় থেকে ৪ কোটি টাকা হতে পারে।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ইয়াবা কারবারিরা দেশ ও সমাজের শত্রু। তাদের বারবার আটক করার পর আবার জামিনে বের হয়ে এসে মাদক কারবারে জড়ায়। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে গেলে তখন হয়তো নতুন কারবারি সৃষ্টি হতো না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় ৩৭টি ইয়াবা কারখানা রয়েছে। মিয়ানমারের ৮টি সংগঠন এসব কারখানা নিয়ন্ত্রণ করছে। মিয়ানমারভিত্তিক ১০ জন ডিলার বাংলাদেশের ৩৫টি পয়েন্ট দিয়ে টেকনাফের কারবারি ও রোহিঙ্গাদের হাতে পৌঁছে দেয়। আর এই কারবারে মিয়ানমারে প্রতিদিন চলে যাচ্ছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি।

 

ইয়াবা কারবারিদের ‘রাজপ্রাসাদে’ ফেরা নিয়ে জাফর আলমের ছেলে রাশেদ মাহমুদ রাসেল দাবি করেন, প্রশাসনের ভেঙে দেওয়া বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৫-১৬ বছর আগে। তখন টেকনাফে ইয়াবা নামে কোনো মাদক ছিল না। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইয়াবার তালিকায় আমার বাবা-ভাইদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত নুরুল হুদার দাবি, ওসি প্রদীপের দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙেছিল। তাই তারা এখন নিজ নিজ বাড়ি মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করছেন।
অভিযুক্ত শাহাজাহান চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে দাবি করেন, ওসি প্রদীপ তার প্রতিপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে ঘর ভেঙে দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি এখন ‘স্বাভাবিক’ হয়ে আসায় তিনি নিজ ঘর সংস্কার করে বসবাস করছেন।
অভিযুক্ত এনাম মেম্বার বলেন, আমি আত্মসমপর্ণে ছিলাম। জামিনে বের হয়ে এখন এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। আবারও মেম্বার পদে প্রার্থী হওয়ায় কেউ হয়তো টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের লাগিয়ে দিয়েছে। এ সময় তিনি প্রতিবেদকের ওয়াসঅ্যাপ নম্বর চান। প্রতিবেদক ফোন রেখে দিলে তিনি একাধিকবার ফোন করতে থাকেন প্রতিবেদকের নম্বরে। নুরুল হক ভুট্টোর ব্যবহার করা একাধিক মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ উপজেলা চেয়াম্যান নুরুল আলম বলেন, অনেক জনপ্রতিনিধি ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। কিন্তু তারা এখন প্রকাশ্যে এলেও পরিষদে যান না। এলাকার মানুষের কাছে জানতে পেরেছি, তারা নানা কৌশলে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে ইয়াবা কারবার করছেন।
টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মাদক কারবারিদের অতীতের তালিকা আমাদের হাতে আছে। সেই অনুযায়ী অভিযান চালাব। তাদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে জানতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের গত ১৪, ১৫ ও ১৭ জুনে দিনে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দৈনিক সময়ের আলো

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!