সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন::টেকনাফ আইওএম’র অর্থায়নে এনজিও সংস্থা ইককো কো-অপারেশনের ইনসেপসন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম। এছাড়াও সভায় এনজিও সংস্থা আইওএম, ইককো কোঅপারেশনের প্রতিনিধিগণ, দূর-দুরান্ত থেকে আগত নারীগণ, প্রিন্ট মিডিয়স ও রেডিও নাফের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মূল বিষয় ছিল নারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক শান্তি। সভায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক আলোচনা শেষে সভাপতি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উক্ত সভায় অবশেষে সম্মানী ভাতা বিতরণ নিয়ে আগত অংশগ্রহণকারীদের মাঝে দেখা যায় এক ধরনের অসন্তোষ ও ক্ষোভ। কয়েকজনে অভিযোগ করেছেন প্রত্যেককে দেওয়া হয় ১০০০ টাকা কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হয় ৫০০ টাকা। তারা বলেন আমাদেরকে নিয়ে এত বৈষম্য কেন? আর আমরা প্রত্যেক প্রোগ্রামে দেখেছি প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছাড়া সামনের অংশগ্রহণকারীদেরকে একই পরিমাণে সম্মানী ভাতা দেয়। উক্ত সভায় উপস্থিত আরো অনেকে বলেন, আগামী জানুয়ারীতে নাকি বাহারছড়ার ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে ৩,৩১,৯৫,৪৪৫ (তিন কোটি একত্রিশ লাখ পঁচানব্বই হাজার চারশত পয়তাল্লিশ) টাকার উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হবে। সেখানে এত টাকার কাজ তারা কিভাবে স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করবে এটা এখন তাদের প্রশ্ন। যেখানে বিসমিল্লাহ গলদ সেখানে এত বড় বাজেটের কাজে কি হরিলোট হবেনা সেটা নিয়েও চলছে নানান গুঞ্জন।
এ ব্যাপারে ইককো কোঅপারেশনের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর আবুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। তবে টাকা বিতরণে বৈষম্য কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ৩/৪ ক্যাটাগরিতে তারা টাকাগুলো বিতরণ করেছে। এ রকম যে ৩/৪ ভাগে সম্মানীর টাকা বিতরণ করা হয় সেটা কখনো কোন এনজিও সভায় জীবনেও দেখা যায়নি। এছাড়াও সভায় কোন ইউপি’র চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেননা।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী ও সচেতন জনসাধারণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply