হোয়াইক্যং প্রতিনিধি( টেকনাফ৭১)
টেকনাফ উপজেলার ১নং হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে ৯নং ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামের জনসাধারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক ভোগান্তি দীর্ঘদিন ধরে রয়ে গেছে। বর্তমান মহামারী করোনার সংকটময় মূহুর্তে দেশে বিদেশে কোন আত্নীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা প্রয়োজনীয় আলাপ সহ কারো সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এমন কি জম্মমৃত্যুর খবর ও জানা যাচ্ছেনা। সারাদেশের জনগন মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা পাচ্ছে।আমার হোয়াইক্যং ইউনিয়নবাসী এই নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত।এই প্রিকোয়েন্সি কমিয়ে সরকারের কি লাভ হলো?বরং ক্ষতি হচ্ছে।
ঘর থেকে বাইরে, বাইরে থেকে আরো খোলামেলা জায়গায়; এমনকি টাওয়ারের নিচে কোথায়ও চাহিদা অনুযায়ী নেটওয়ার্ক নেই। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় থ্রি এবং ফোরজি শুধু নামেমাত্র।
ইন্টারনেটের ভারী কাজ তো দূরের কথা, এমনকি সাধারণ কাজ নিয়েও পড়তে হয় মুশকিলে। আবার লোডশেডিং হলেই মোবাইলে ইমারজেন্সি নেটওয়ার্ক। নেট ব্রাউজিং শুধু নয়, মোবাইলে কথা বলতে ছোটাছুটি করে নেটওয়ার্ক খুঁজতে হয়। সাধারণ মানুষ নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে এ পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে একমাত্র রোহিঙ্গাদের কারণে। দেশের এই ক্রান্তিকালে হোয়াইক্যং-এ মানুষ গুটিকয়েক ওয়াইফাই ছাড়া কোন খবর জানতে পারছেন না।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বর্তমান মোবাইল নেটওয়ার্ক ভোগান্তি চরমে। দেশের চলমান এ মানবিক বিপর্যয়ে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও অনলাইনে সংবাদ পাওয়া ও দেওয়া অত্যান্ত জরুরি। তাই মানবিক কারণে মোবাইল কোম্পানি রবি,গ্রামীণ, বাংলালিংক, টেলিটক, এয়ারটেল কে প্রিকোয়েন্সি 4G করার (পূর্বের ন্যায়) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য হোয়াইক্যং ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার ও C.O ২বিজিবি টেকনাফ ও ইউএনও,টেকনাফ এবং BTCL সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
Leave a Reply