টেকনাফ৭১ ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যে রোগীদের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই তাদের থেকে সংক্রমণ খুব বেশি ছড়াচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরখোভ।এর আগে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছিলেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ে সব থেকে উদ্বেগ রয়েছে অ্যাসিম্পটম্যাটিক রোগীদের নিয়ে। কারণ, তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়ালে তা ধরাই যাবে না। সংক্রমণ মোকাবিলা তখন কঠিন হয়ে পড়বে। কিন্তু সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারা সেই ধারণা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকেই বহু বিশেষজ্ঞ বলছিলেন, অনেক অল্পবয়সি বা সুস্থ ও সবল ব্যক্তির মধ্যে হয়তো কোভিডের সংক্রমণ ঘটবে। কিন্তু তাদের শরীরে কোনো উপসর্গই দেখা যাবে না।
বা দেখে গেলেও তা হবে খুবই মৃদু।করোনার সংক্রমণের শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে, এক জন মানুষ থেকে অন্য মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এমনকি কোনো করোনা আক্রান্তের শরীরে উপসর্গ না থাকলেও তার থেকে অন্যের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার জানায়, এ ভাবে সংক্রমণ ছড়াতেই পারে, কিন্তু এটাই সংক্রমণ ছড়ানোর প্রধান উপায় নয়।মারিয়া ভন কেরখোভ বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য ও পরিসংখ্যান রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে সব রোগীর শরীরে উপসর্গ নেই তাদের থেকে অন্য কারও শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর হার খুব কম। বলতে গেলে বিরল, এটা খুবই বিরল।’তার কথায়, সরকারের উচিত যেসব করোনা আক্রান্ত মানুষের শরীরে উপসর্গ রয়েছে তাদের খুঁজে বের করা, আইসোলেশনে রাখা এবং চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা।উপসর্গহীন করোনা রোগীদের বিষয়ে মারিয়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে আরও গবেষণা আরও পরিসংখ্যান দরকার। কারণ, আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি দেশের থেকে তথ্য এসেছে। যারা খুব ভাল করে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করেছে। তারা দেখেছে, অ্যাসিম্পটম্যাটিক পেশেন্টদের থেকে অন্যজনের শরীরে খুব বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না। এটা খুবই বিরল।’তিনি বলেন, ‘একটা কথা বরং আমাদের স্পষ্ট বুঝে নেওয়া দরকার। যে রোগীদের উপসর্গ রয়েছে তাদের যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি, তারা যাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের আইসোলেশনে বা কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারি তা হলে সংক্রমণ ছড়ানোর হার এক ধাক্কায় কমে যাবে।###
Leave a Reply