নেটওয়ার্ক /যোগাযোগের থেকে আমরা
উখিয়া টেকনাফ বাসী বিছিন্ন থাকব কেন???
হাজার হাজার মানুষের লুকানো কান্না কি কেউ শুনে না?
না কেউ শুনতে চেষ্টাও করে না।
কেন আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা যন্ত্রণা দেয়?
যোগাযোগ স্বাভাবিক করার কেউ আছেন কি?
থাকলে একটু দয়া দেখাবেন কি?
আমাদের জন্য সুদৃষ্টি দিবেন কি?
আমাদের জন্য নেটওয়ার্ক নিয়ে স্তর স্তর পদার্পণ করার কেউ আছেন কি???
নেটওয়ার্ক নামের ভিক্ষা আমাদের দিবেন কি???
পিছিয়ে পরা হাজার হাজার উখিয়া টেকনাফের ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ করে দেওয়ার কেউ আছেন কি???
অসুস্থ হয়ে বাড়িতে পরে থাকা রোগীর চিকিৎসা করার জন্য হঠাৎ এম্বুলেন্স পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কেউ আছেন কি???
শত শত উখিয়া টেকনাফের সরকারি, বেসরকারি, কর্মকর্তা, কর্মচারী
দেশের স্বার্থে বাহির জেলায় অবস্থান করতে হচ্ছে, দেশের মানুষের সেবার স্বার্থে।
যখন শত ব্যস্ততার পরে বাড়িতে থাকা,
মা,বাবা,ভাই,বোন,ছেলে,মেয়ে, আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করে
তখন নেটওয়ার্ক নামের বাহক তন্ত্র বাধা দিয়ে মনটাকে যন্ত্রণার কাতারে দাড় করিয়ে রাখে।
কোন অপরাধে আমরা অপরাধী?
কোন অপরাধে উখিয়া টেকনাফের মানুষ অপরাধী??
রোহিঙ্গাদের মানবতা দেখানোর কারণে???
না আমরা দরদী বলে?
না আমাদের নিজের জায়গায় স্থান দিয়েছি বলে??
না আমাদের খাবার রোহিঙ্গাদের এগিয়ে দিয়েছি বলে?
না আমরা ভালোবাসাতে জানি বলে???
কি অপরাধ আমাদের??
এমন সময় কঠিন পরিস্থিতিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কেন?
আমরা রোহিঙ্গাদের দয়া দেখাতে একটুও কমতি দেখাইনি, এখন আমাদের দয়া দেখানোর কেউ আছেন কি??
থাকলে একটু জানবেন কি??
লেখকঃ
সালাউদ্দীন কাদের লাভলু
পুলিশ সদস্য।
Leave a Reply