বিশেষ প্রতিনিধি::
টেকনাফে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে শত শত ফার্মেসী, এর মধ্যে অধিকাংশ ফার্মেসী বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। টোকেন নিয়ে চলছে প্রায় ফার্মেসী বাণিজ্য। র্ফামেসী গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ, অননুমোদিত নিম্নমান ও ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ওষুধের পাশাপাশি অবাধে কিছু নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি হওয়ায় যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
অপরদিকে পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে লাইসেন্সবিহীন ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পল্লী ডাক্তার ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত, বিভিন্ন নামে বেনামে ডাক্তার সাজিয়ে মল, মূত্র, রক্ত, ইসিজি ও বড়-ছোট কাটাছেঁড়া অবৈধ কিছু চিকিৎসা দেওয়ার নামে এলাকায় মাইকিং করে এবং গ্রাম থেকে আসা হতদরিদ্র রোগীদের কাছ থেকে করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে গলাকাটা বাণিজ্য চালাচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা সেবার কোনো গুরুত্ব নেই, আছে শুধু অতিরিক্ত মুনাফার ফন্দিফিকির। অভিযোগ উঠেছে, ড্রাগ ঔষধ আইন অনুযায়ী ফার্মেসী ব্যবসা এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে, যাহা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মত স্থানে। কিন্তু এসব কিছু তোয়াক্কা না করে পৌর শহরে ব্যাঙ্গের ছাতার ন্যায় গড়ে উঠেছে নামে বেনামে বিভিন্ন ফার্মেসী প্রতিষ্ঠান। ফার্মাসিষ্ট ছাড়াই প্রায় ঔষুধের দোকানে বকলমরাই ভোক্তাদের ঔষধ বিক্রি করছে। যাহা নিয়ে পৌর এলাকায় সচেতন মহলের মধ্যে রীতিমত প্রশ্ন উঠেছে।
এমনই অভিযোগ করেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়ার ভুক্তভোগী মোঃ ইয়াহিয়। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ১৫ জুন (সোমবার) তার স্ত্রী আলসার ও ব্যথা রোগের জন্য অলিয়াবাদ ফরিদর মার্কেটস্থ মিনহা মেডিকেল হল এর চিকিৎসক মুবিনুল হক এর শরনাপন্ন হন। তাকে পাচঁ প্রকারের ঔষধ এবং ইঞ্জেকশন দিয়ে ১৪৭০ (চৌদ্দশত সত্তর) টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ঔষদের মুল্যে সন্দেহ হলে উক্ত ভোক্তা পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ফার্মেসীতে ঔষুদের মুল্য যাচাই বাচাই করে জানতে পারে ঐ পরিমান ঔষুধের প্রকৃত বাজার মূল্য ৪৭০(চার শত সত্তর ) টাকা। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের সাথে নিয়ে “মিনহা মেডিকেল হল এর চিকিৎসক মুবিনুল হক” এর কাছে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের কারন জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি বলে জানান অভিযোগকারী। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে সব টাকাই ফেরত দিয়ে ভুলও স্বীকার করে।
এছাড়াও অল্পশিক্ষিত ভোক্তাদের কাছ হতে প্রতিনিয়িত হাজার হাজার টাকা প্রতারনা করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়। টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ার আবদুল্লাহ নামের জৈনক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, তার জ্ব,সর্দি ও কাশি হলে ষ্টেষনের একটি ফার্মেসীতে ঔষুধের জন্য গেলে তাকে করোনার লক্ষন এর ভয় দেখিয়ে কয়েকটি ট্যাবলেট ও সিরাপ হাতে তুলে দিয়ে অসামাঞ্জস্য মূল্য চাইলে তিনি রাগ করে ঔষধ না নিয়ে ফিরে আসেন। পরে অন্য একটি ফার্মেসী হতে সামান্য টাকার ঔষধ খেয়ে তিনি ভালো হয়ে যান।এমন অহরহ অভিযোগ এর শেষ নেই ভোক্তাদের। আরো অভিযোগ উঠেছে করোনা প্রাদূর্ভাবে দূরদুরান্ত হতে আগত রোগীদের জিম্মি করে স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তাররা ফার্মেসীতে বসে এসব টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজর দারী এবং অভিযান কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় এক শ্রেণীর অসার্ধ ঔষধ ব্যসায়ী প্রতিষ্ঠান বে পরোয়া হয়ে উঠেছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের সামনে সুপরিচিত ডাক্তার বিশেষজ্ঞদের বিশালাকারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হলেও জানা গেছে তাদের কাউকে পাওয়া যায় না। শোনা যায় রোগী আকর্ষণের জন্যই শুধু বিশেষজ্ঞদের নাম সাইনবোর্ডে লেখা হয় এবং নাম ব্যবহার বাবদ মাসিক ফি দেয়া হয় তাদের।
এ ব্যাপরে সচেতন ভোক্তারা সংশিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেক কামনা করেছেন। তাদেরকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।###
Leave a Reply