1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ: ফের চাংগা মাদক পাচার ও ব্যবসা?

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ থেকে 

পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুভাবে এবং লকডাউনের পর থেকে দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে আমদানি ও রপ্তানী কার্যক্রম সম্পূর্নরূপে বন্ধ হয়ে পড়েছে। চলতি বছর ১৪ জুন মিয়নমার থেকে কোন ধরনের পণ্য আমদানি হয়নি। শাহপরীর দ্বীপ কেবল করিডোর দিয়ে গভাধী পশু মিয়ানরমার থেকে আমদানি হলেও এর পরিমান নগন্য। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য মতে মিয়ানমার পুরো সীমান্ত এলাকা জোড়ে চলছে, করোনা ভাইরাস এবং লকডাউন। যার ফলে দুদেশের সীমান্ত বানিজ্যের উপর মাদকের বিরুপ প্রভাব পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের প্রেক্ষিতে ২ মাস যাবৎ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বানিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে মাদক পাচার এবং ব্যবসা আশংখা জনকহারে বৃর্দ্দি পেয়েছে।

স্থলের চেয়ে গভীর সাগর পথে মাদক পাচার অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। সমপ্রতি কক্সবাজার র‌্যাব ১৫ সাগরে অভিযান চালিয়ে ৪০ কোটি টাকার মূল্যে ১৩ লাখ ইয়াবাসহ ২ রোহিঙ্গা ও একটি মাছ ধরার বোট জব্দ করেছে। অপরদিকে টেকনাফের উত্তর হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার নাফনদীর দৃশ্যমান সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাদক ঢুকছে। সীমান্ত রক্ষী এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে প্রতিনিয়তই মাদক জব্দ হচ্ছে। এর মধ্যে হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, তুলাতলী, হারাংগ্যাঘোনা, হারাংখালী, সাবরাং, ঝিম্মংখালী, উনচিপ্রাং ও জাদিমূড়া উল্লেখযোগ্য। এসব পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন অভিনব কৌশলে মাদকের চালান ঢুকার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় মুওজুদ হয়। পরে অবস্থা বুঝে ঢাকায় পাচার হয়ে যায়। সামনে পর্যটন মওসূম এবং একে সামনে রেখে দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ে শীর্ষ মাদক কারবারীরা এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহন করছে। বিশেষ করে টেকনাফর সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সাবেক মেজর সিনহা হত্যা সংক্রান্ত বিষয় এবং এ সূযোগকে ওরা কাজে লাগাচ্ছে। ২২ মাস সাবেক বিতরকৃতি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফ থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় মাদক নির্মূলের নামে ১৬৪ মাদককারবারি তথা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও মাদক প্রবেশ এবং ব্যবসা কিন্তু বন্ধ হয়নি। এ অবস্থায় মাদক পাচার ব্যবসা ফের স্বক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি গেল জুলাই মাসে পৃথক অভিযানে ৩ কোটি টাকার মূল্যের ইয়াবা সহ অন্যান্য পণ্য জব্দ করেছে। এর মধ্যে ইয়াবা শীর্ষ রয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফে (২বিজিবির) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাইসাল হাসান খান জানান মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!