 
							
							 
                    
নাজনিন সরওয়ার কাবেরী “শুধু একটি নাম নয় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজ বুকের একজন বন্ধু নাম নাজনিন সরওয়ার কাবেরী।কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। কোন দিন সাক্ষাতে কথাবার্তা হয়নি।আমাদেরকে না চিনলেও আমরা সবাই তাকে চিনি পারিবারিক সুত্রধরে।একজন মহিলা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের পদে আছেন। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।তার দল ক্ষমতায় থাকলেও দলের কোন ক্ষমতা অন্যায় ভাবে কোন দিন প্রয়োগ করেননি।এই পেইজ বুক বন্ধুর আই ডি আমি খুব মনোযোগ সহকারে প্রতিদিন পড়ি।আমি অনেক দিন ধরে চিন্তা করে আসছি এই বন্ধুকে নিয়ে কিছু লিখব।তাই আজ সময় নিয়ে দু কলম লিখলাম।কারন মানুষের ভালো কাজের পুরস্কার আল্লাহ একদিন দিবেন।দুনিয়াতে বেঁচে থাকা কালীন মানুষ অনেক পুরস্কার পেয়ে থাকেন।আমি এই বন্ধুকে এই লেখা পুরস্কার হিসাবে দিলাম।এফবি প্রোফাইল মতে তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্ছ ডিগ্রী অর্জন করেছেন।তিনি একজন সফল নারী।নারী সমাজের অহংকার। তিনি শুধু কক্সবাজারের মানুষের কথা বলেন না দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায়,নির্যাতিত,শোষিতা,অসুস্থ,অবহেলিত এবং দারিদ্রতায় জর্জরিত মানুষের কথা বলেছেন।শোষনমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গিকার নিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছে এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায়,ইউনিয়ন,গ্রাম ও পাড়ায় পাড়ায়।স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে নিজের টাকা পয়সা খরচ করে তিনি মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।সাধারন সমস্যার কথা শুনেন সমাধানের জন্য সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।প্রতিবাদ করছেন দল ও মতের উর্দ্ধে থেকে।সম্প্রতি মেজর সিংহা হত্যায় প্রথম তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অপরাধীদের বিচার চেয়েছেন।এই রকম শত শত প্রতিবাদী ভিডিও তার আইডিতে দেখা যায়।যা এ যাবত কালের কোন জনপ্রতিনিধির কাছে কেউ পায়নি।সাধারণ মানুষ এর চেয়ে বেশী কিছু কারো কাছে আশা করে না।বিপদআপদে কাছে গিয়ে শান্তনা দেওয়ার লোক খুব কম দেখা যায়।একজন নারী হিসাবে তিনি তা করছেন।আমি দেখেছি তার কাছে গিয়ে অসহায় মানুষ খালি হাতে ফিরে আসেনি। আমি তার বাবা মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীকে খুব কাছ থেকে জানি। তিনি তার বাবার যোগ্য উত্তরসুরী।নাজনীন সরওয়ার কাবেরী তার বাবার মত একজন অনেক বড় মনের মানুষ। তার বাবা বাসটার্মিনালস্থ কক্সবাজার আর্দশ মহিলা কামিল মাদ্রাসার একজন বড় মাপের অভিভাবক ছিলেন।সুখ দুঃখে তিনি মাদ্রাসার পাশে থাকতেন।আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন।তার বাবার মতই কাবেরী শুধু একটি নাম নয় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। কক্সবাজার জেলার ইতিহাসে অতীতে কোন মহিলা ক্ষমতার চেয়ার, পদ পদবী ছাড়া এভাবে সাধারন মানুষের কাছে গিয়ে কথা শুনেছেন,পরামর্শ দিয়েছেন,সাহায্য সহযোগীতা করছেন তা আমার জানা নেই।বর্তমান সময়ের জন্য তিনি কক্সবাজারের মাদার তেঁরেছা। তিনি কবি সুফিয়া।তার লেখা,লাইভ ভিডিও গুলো তাই প্রমাণ করে।আগামীতে ও অন্য কোন মহিলার দ্বারা এটা সম্ভব বলে আমি মনে করি না।কারন এই শিক্ষাগুলো পরিবার কেন্দ্রিক।পরিবার থেকে এ শিক্ষা গ্রহন করতে হয়।আমি মনে করি নারী সমাজ নাজনীন সরওয়ার কাবেরী হতে অনেক কিছু শিক্ষা নিতে পারে।মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মানুষের সেবা করা আপনি আমার দ্বারা সম্ভব না।নাজনীন সরওয়ার কাবেরী একজন নারী হয়ে ও অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।পাঠক ভাই বোনরা প্রমাণ স্বরুপ তার পেইজ বুক আইডি পর্যালোচনা করলে বুঝতে পারবে।আমি অধম ও তার পেইজ পর্যালোচনা করে তার অজ্ঞাত ভক্ত হয়ে তাকে পুরস্কৃত করলাম। তাই নাজনিন সরওয়ার কাবেরী “শুধু একটি নাম নয় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর”।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
ব্যবস্থাপনা ও বার্তা সম্পাদক,
নিউজকক্স বিডি।
 
                                         
                                         
                                         
                                        
Leave a Reply