1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
লাশ গুনে গুনে ক্রসফায়ার বাণিজ্যের ভাগ নিতেন কামাল-বেনজীর টেকনাফে অপরাধ-প্রবণতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তার ঝুকিতে স্থানীয়রা হ্নীলা দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত, প্রধান অতিথি এডঃ রশিদুল আলম চৌধুরী টেকনাফ অপহরণ বন্ধে প্রতিবাদ ও মানব বন্ধন টেকনাফে জামায়াত কর্মীকে কোপাল আওয়ামী লীগ নেতা! থানায় মামলা প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখা ও প্রতিবাদ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি সাদেক হোছাইন , সম্পাদক রিদওয়ানুল হক শাহপরীর দ্বীপ স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠিত- সভাপতি-আলী, সম্পাদক-মোস্তাক টেকনাফে পুলিশের গু’লিতে নি’হত মেজর সিনহা হত্যার ৪ বছর : সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ, হ’ত্যার বিচার দ্রুত কার্যকরের দাবি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণে ফিরলেন টেকনাফের আতিক

অনিয়ম,দুর্নীতির দায়ে টেকনাফের প্রকৌশলীর প্রত্যাহারঃ স্বস্থিতে ঠিকাদারেরা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক,

টেকনাফ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল,জিই,ডি) প্রকৌশলী এইচএম, আনোয়ারুল হক এ দপ্তরে যোগদানে পর সংশ্লিষ্ঠ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বদলী করেছে। তাকে কি কারণে অল্প সময় বদলী করা হলো তার কোন সু-নিদিৃষ্ঠ তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ দপ্তরে যোগদানের পর থেকে তিনি অলোচনা ও সমালোচনা কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে।

সমপ্রতি তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে অনিয়ম, দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার অসদাচরন, ঠিকাদারদের প্রতি দমন নীপিড়ন অধীনস্থ কর্মচারীদের প্রতি অসৌজন্য মূলক আচরন এবং নেপথ্যে ঠিকাদারী ব্যবসা ছাড়াও অহরহ অভিযোগ উঠলেও তিনি এর প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা করেন না। যেন তিনিই এ দপ্তরে সর্বেসর্বা। তার খুটীর জোর নাকি বেশী। এ জন্য সে এখানে বীরদর্পে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বিভিন্ন ছোট বড় উন্নয়ন প্রকল্প বস্তবায়ন করতে গিয়ে বিভিন্ন অজুহাত বা ক্রটি খাড়া করে ঠিকবাদারদের উন্নয়ন কাজে ফাঁদ বসিয়ে হয়রানী করে থাকে। যাহা সিডোওয়েল পরিপন্থিমূলক বলে ঠিকাদারদের অভিযোগ। এ ছাড়া উন্নয়ন কাজের মালামাল পরিবহনে তার সীল স্বাক্ষর প্রয়োজন হলে বিষয়টি তিনি আমলে নেয়না । উপজেলা পরিষদ আবাশিক ভবন মেরামত, গোদার বিল ব্রীজ নির্মান মাঠি ভরাট, নব নির্মিত উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে মাঠ সংস্কার এবং টাইলস সিসি ক্যামরা সহ অনুসাংগিক বাবৎ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার কাজ ভূয়া ঠিকাদার দেখিয়ে তিনি নিজেই সম্পাদন করেছেন।

যাহা এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে অভিযোগ উঠেছে যে,তিনি নিজেই খেলোয়াড় ও রেপারীর ভূমিকা পালন করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভূক্তভোগী কয়েকজন ঠিকাদার এ প্রতিবেদককে বলেন, টেকনাফ উপজেলা এল,জিই,ডি প্রকৌশল দপ্তরে অতীতকে সব দুর্নীতিতে হার মানিয়েছে এই কর্মকতা। যা নিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী তথা সচেতন মহলের মধ্যে প্রকৌশলীর নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অসৌজন্য মূলক আচরনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রাস্তার এল জিএসপি মহিলাদের দিয়ে নব নির্মিত উপজেলা পরিষদ চত্তর সংস্কার কাজে ব্যব্হার করেছে। এ দপ্তরে বনামে স্বানামে তিনি এবং একজন অফিস সহকারী পর্দার অন্তরালে ঠিকাদারী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে মেসার্স দি ইঞ্জিনিয়ার এন্ড কনস্ট্রাকশন এর মালিক ঠিকাদার জানান উপজেলা প্রকৌশলী (এল,জিই,ডি) এস,এম আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার অসাদাচরন ও সহযোগিতার অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের নির্বহী প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮-২০১৯ গেল অর্থ বছরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স (চার তলা) ও হলরুম (এক তলা) নির্মাণ কাজে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬৯৬ টাকার কাজ পায়। যথাসময়ে হলরুম নির্মণ কাজে শেষ হলেও কমপ্লেক্স ভবন স্থান নির্ধারণ নিয়ে ২ বছর যাবৎ সময় লেগে যায় এবং এ সময়ে উপজেলা প্রকৌশলীর বদলী জনিত কারণে কমপ্লেক্স ভাবন নির্মানের স্থান নির্ধারন সিদ্ধান্ত নিতে এ ভোগান্তির মধ্যে পড়ে এ প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া কোভিড-১৯ করোনার কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর কমপ্লেক্স ভবনের সম্পন্ন হলেও উক্ত প্রকৌশলীর সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পানির (ট্যাংক) রিজার্ভের কাজটি সম্পন্ন হয়নি।এর ডিজাইন দিতে গিয়ে তিনি কালক্ষেপন পূর্বক হয়রানী এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবন বৃষ্ঠিতে পানির ট্যংকটি সম্পন্ন করতে এ প্রতিষ্ঠান বারাংবার হয়রানীর মধ্যে পড়ে। অপর দিকে প্রকৌশলী সিডোত্তয়েল (ড্রয়িং) বহিভূত টাইলস লাগানোর নামে সাইট ম্যানেজার ও ফার্ম প্রকৌশলীকে চাপ প্রয়োগসহ অসাদাচরন করে এবং কাজ বন্ধ করতে বললে, অবশেষে ৬ লক্ষ টাকার টাইলস চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো হয়। পরে জানা যায় প্রকৌশলী উক্ত টাইলসের টাকা সরকারী কোষাগার থেকে উত্তোলন করা হলেও উক্ত ঠিকাদারের অগ্রিম দেওয়া ৬ লক্ষ টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহনা করে যাচ্ছে। বিতরকৃত প্রকৌশলীর ঘটনা এখানে শেষ নয়, খোদ উপজেলা পরিষদ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী পর্য্যন্ত তার অসাদাচরনে ক্ষোব্দ। নব নির্মিত কমপ্লেক্স অফিস বরাদ্দ নিয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি পরিবেশ দুষন করেছেন। যা নিয়েও অভিযোগ উঠেছে, পরিষদ এলকায়।

এ বিষয়ে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এল,জিই,ডি) নির্বহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ আমি ও শুনেছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে তাকে কুমিল্লা জেলার দাউকান্দি উপজেলার প্রকৌশল দপ্তরে বদলী করা হয়েছে। তার স্থলে একজন নতুন প্রকৌশলীকে পদায়ন করা করতে যাচ্ছেন। এব্যাপারে ২৪ সেপ্টেম্বর উক্ত প্রকৌশলী দপ্তরে গেলে তার অফিসটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানা যায় সে বদলী আদেশ প্রত্যহার করতে তিনি এখন ঢাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর