বিশেষ প্রতিবেদক::
অবশেষে বিতর্কিত টেকনাফ উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী এসএম আনোয়ারুল হক এর বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্তে এসে তার সকল আপকর্মের গোমর ফাঁস হল।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলজিউডি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি সকার ১১ টায় টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে চার ঘন্টা ব্যাপী তদন্ত কাজ চলে। তদন্তকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধাচরনের সরেজমিন তদন্ত কাজ করতে গিয়ে উক্ত প্রকৌশলী ফেঁসে যান।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে উপজেলা পরিষদ ভবন এবং মিলনায়তন নির্মন কাজ শুরু করে। চলতি বছর জুলাই মাসে নির্মান কাজ শেষে উক্ত প্রকৌশলী নানা হয়রানী, আর্থিক কেলেংকারী এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার ও ফার্ম প্রকৌশলীর সাথে কর্মরত অবস্থায় অভিযুক্ত প্রকৌশলীর দমন নিপীড়ন, অসাধাচরন পদে পদে হয়রানী এবং ঠিকাদারের নির্মান সামগ্রী ইট, বালী, কংকর ও টাইলস নিজ স্বার্থে ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠনের মালিক সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে প্রকৌশলীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দাখিল করে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে এনে তদন্ত কাজ শুরু করে । তদন্ত কাজে চট্টগ্রাম এলজিইডি বিভাগের তত্বাবদায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন তদন্ত করেন। তার সাথে ছিলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন চাকমা ও কক্সবাজর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফের এলজিইডির প্রকৌশলী এসএম আনোয়ারুল হক এবং অভিযোগ কারী ঠিকাদরী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত উক্ত প্রকৌশলীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি জেলাই বদলি করা হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে উক্ত তদন্ত টিম নির্মানাধীন ভবন কাজ পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ কালে স্থানীয় ঠিকাদর মনজুরুল করিম সোহাগের পাওনা টাকা দার দেওয়া বিদায়ী প্রকৌশলীকে অবরুদ্দ করে রাখে। পরে ছাড় পেয়ে চলে যান। এ নিয়ে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ পাড়ায় তোলপাড় চলছে।
Leave a Reply