1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, টেকনাফ বাজারে নেই কার্যত তদারকি টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শামশু আলম মেম্বার কা’রা’গা’রে লাশ গুনে গুনে ক্রসফায়ার বাণিজ্যের ভাগ নিতেন কামাল-বেনজীর টেকনাফে অপরাধ-প্রবণতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তার ঝুকিতে স্থানীয়রা হ্নীলা দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত, প্রধান অতিথি এডঃ রশিদুল আলম চৌধুরী টেকনাফ অপহরণ বন্ধে প্রতিবাদ ও মানব বন্ধন টেকনাফে জামায়াত কর্মীকে কোপাল আওয়ামী লীগ নেতা! থানায় মামলা প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখা ও প্রতিবাদ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি সাদেক হোছাইন , সম্পাদক রিদওয়ানুল হক শাহপরীর দ্বীপ স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠিত- সভাপতি-আলী, সম্পাদক-মোস্তাক

মরণ নেশা ইয়ারার জোয়ারে ফের ভাসছে টেকনাফ!

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ থেকে

 

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে আবারো ফিরে এসেছে ইয়াবা ব্যবসার যৌবন কাল। অতীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়িতে ইয়াবা ব্যবস্যা হ্রাস পেলেও ইদানীং বর্তমানে পুরোদমে শুরু হয়েছে। হাত বাড়ালে পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। গত নভেম্বর মাসে টেকনাফ ২ বিজিবি’র ২৪ কোটি টাকার ইয়াবা আটক করেছে। টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ১লাখ ইয়াবা আটক করেছে। এর পাশাপাশি র‌্যাব ও কোষ্টগার্ড গত এক মাসে ১৫ থেকে বিশ কোটি টাকার ইয়াবা আটকের সংবাদ রয়েছে। আটকের পাশাপাশি হাজার কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশের অভ্যন্তরে চলে যাচ্ছে।
সুএে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং, সদর, হ্নীলা, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনের নতুন ও পুরাতন গডফাদারগণ পুরোদমে ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই ব্যবসা চলছে। কে কার চেয়ে বেশি বড় চালান নিতে পারে সেই ভাবে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারদের কাছে আগে থেকে সরবরাহ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। যেহেতু মিয়ানমারে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেসে ৩৭টি ইয়াবা তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। তারাও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশী ডিলারদেরকে ইয়াবা সরবরাহ দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আরো জানা যায় যে, বাংলাদেশের করোনা কালীন লগডাউনের সময়ে সকল যানবাহন বন্ধ থাকায় মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ফলে এই সময়কার উৎপাদিত ইয়াবার জমাকৃত চালান কম দামে বাংলাদেশে বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি বাকি টাকাতে বড় বড় চালান বাংলাদেশী ডিলারদের নিকট তুলে দিচ্ছে। এর ফলে টেকনাফে উপজেলায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পাচারকারির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমারে উৎপাদিত চার প্রকার ইয়াবা রয়েছে এর মধ্যে R7, WY ও চম্পাসহ আরো একটি সাদা রঙের ইয়াবা উৎপাদন হচ্ছে।

এর মধ্যে আটককৃত মাদককারবারি সূএ মতে আর সেভেনের দাম বাংলা টাকায় প্রতিটি ৫০ টাকা যা ঢাকার মূল্য ৩’শ টাকা, “ডব্লিউ ওয়াই” বাংলা টাকায় প্রতিটি ৩০ টাকা, যা ঢাকার মূল্য ২’শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর কারণে ক্রয়ের চেয়ে লাভের ৩/৪ বেশি হওয়ায় ছোট, বড়, যুবক, বৃদ্ধ সকলেই এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। এ সমস্ত ইয়াবা দেশের অভ্যন্তরে পাচারের মূল বাহন হচ্ছে টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন যানবাহন ও ফিশিং বোট। এ মাদক ব্যবসা যদি এভাবে চলতে থাকে যা প্রতিরোধ করা না গেলে টেকনাফসহ দেশের যুব-সমাজ ধবংসের দ্বার পান্তে চলে যাবে অর্থ নৈতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়বে বলে সচেতন মহলের অভিমত।

এ বিষয়ে কোষ্টগার্ড টেকনাফ (বিসিজি) স্টেশন কমান্ডার লেঃ আমিনুল হক জানান, মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই। বর্তমান পর্যটক মৌসুমকে সামনে রেখে সীমান্তে টহল জোরদার রয়েছে। মাদকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা বিন্দু মাএ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর