কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন কর্মব্যস্ততার মধ্যদিয়ে সময় পার করেছেন টেকনাফ উপজেলায়। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সরকারী সফরে টেকনাফ উপজেলায় আসেন। তিনি সকাল ১০ ঘটিকায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের রিক্সা চালক রমজান আলী (৪৫) (মামুনের বাবা) কে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০শতাংশ খাস জমির উপরে নির্মিত বাড়ির চাবি,জমির দলিল হস্তান্তর করে। এটাই হচ্ছে কক্সবাজার জেলার প্রথম মুজিব জন্মশতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্মিত বাড়ি।
উল্লেখ্য যে, রিক্সাচালক রমজান আলী দীর্ঘ বৎসর সরকারি খাস জমির উপর থীরপাল মুড়িয়ে একটি ঝুপুড়ি ঘরে বসবাস করতেন। এই বাড়ি থেকে তার ছেলে মামুন প্রাইমারী স্কুলে পঞ্চম শ্রেনি লেখা পড়া করেছে। সে একদিন প্রধানমন্ত্রীর দরিদ্রদের প্রতি এত সহানুভূতি দেখে তার মোবাইল থেকে তার বাড়িটি নির্মানের আবেদন জানান।
এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এই বাড়িটি কক্সবাজার জেলায় সর্বপ্রথম নির্মানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। রিক্সাচালক রমজান আলী আজ ঝুপুড়ি বাড়ি থেকে নিজস্ব দালাম বাড়ি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন চাবি জমির কাগজ পএ হস্তান্তর শেষে হ্নীলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এখানে এসে হত দরিদ্রদের জন্য হ্নীলা আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মানাধীন ২৮টি বাড়ি এবং রঙ্গিখালী মাদ্রাসা সড়ক পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পৌরসভায় নাইট্যং পাড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলের যুদ্ধের ব্যাংকার, রাখাইনদের শশ্মান ও মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বিকেলে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চত্বরে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতার্থ বস্ত্র,মাস্ক ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এরপর তিনি টেকনাফ উপজেলা ভুমি অফিস, টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যানাগাদ কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আবুল মনছুর, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমানসহ উপজেলার রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ,জেলা উপজেলা পর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তা ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন সাথে ছিলেন।
Leave a Reply