মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্র সৈকতের পাড়ে প্রস্তাবিত সাবরাং পর্যটন অঞ্চলে তারকা হোটেল-এর ভিত্তি প্রস্তরের স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পর্যটনের নতুন ঠিকানা উম্মোচন হয়েছে। এতে করে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থার সুযোগ হবে। এই পার্কটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি ৩৯ হাজার পর্যটক উপভোগ করতে পারবে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে সমুদ্র সৈকতে পাড়ে টেকনাফ ‘সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে’র খোলা প্রাঙ্গনে একটি অনুষ্টানে পর্যটন বান্ধব তিনটি প্রতিষ্ঠানের তারকা হোটেল নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজার) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন, গ্রেট আউটডোর এন্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপক সোহেল আহমদ ও সানসেট বে লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইশতিয়াক আহমেদ পাটোয়ারি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
‘সাবরাং ট্যুরিজম পাক’ এবং বিশাল সমুদ্র সৈকত বেজা’র কিভাবে হয়েছে, সেটি এক লম্বা ইতিহাস উল্লেখ করে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বেজা নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকতের পাড়ে পর্যটন অঞ্চল ‘সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে’ কাজ শুরু করেছে। এখানে আরো আগে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও পানি এবং পাথরের কারনে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নীল জলরাশী এ অঞ্চল দৃশ্যমান হলে কক্সবাজারের স্থান দখল করে নিবে। এতে করে বাংলাদেশে নতুন ঠিকানা পাবে পর্যটকরা। যেখানে পর্যটন-বান্ধব পরিবেশ থাকবে।’
পবন চৌধুরী বলেন, ‘সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে পর্যটন শিল্প গড়তে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ চলছে। যা অন্য জায়গার চেয়ে আলাদা হবে। এখানে ঘিঞ্জি পরিবেশ এবং ভীড় থাকবে না। পাশপাশি এই অঞ্চলের প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষন রেখে পাচঁ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং ইতি মধ্যে এখানকার রাস্তা ও সীমানার কাজ দ্রæত শুরু হবে।’
গ্রেট আউটডোর এন্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপক সোহেল আহমদ বলেন, তারা স্নোরকেলিং, স্কুবা ডাইভিং, প্যারাসেইলিং, জেট স্কিইং, প্যাডেল বোর্ডিং, বিচ ভলিবল, বিচ বোলিং সুবিধাসহ আধুনিক পর্যটনবান্ধব স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
বেজা জানিয়েছে, সমুদ্র সৈকতের পাড়ে অবস্থিত সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটির আয়তন ১০৪৭ একরের। শুরুতে এ অঞ্চলে গ্রেট আউটডোর এন্ড অ্যাডভেঞ্চার লিমিটেড, গ্রিন অরচার্ড হোটেল এন্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং সানসেট বে লিমিটেড-এই তিন প্রতিষ্ঠান ৫.৫ একর জমিতে ৩২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঁচ তারকা ও তিন তারকা মানের হোটেল সহ পর্যটন বান্ধব বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া ৯টি পর্যটন বান্ধব প্রতিষ্টান আরো ২১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। এই বিনিয়োগকারীর তালিকায় নেদারর্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্টানও রয়েছে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি ৩৯ হাজার পর্যটক উপভোগ করতে পারবে।##
Leave a Reply