বিশেষ প্রতিবেদক,টেকনাফ
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া দিয়ে সাগর পথে ইয়াবা পাচারের অন্যতম হোতা মোঃআমিনের সিন্ডিকেটের আরো ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছেন বিজিবির সদস্যরা।
ইয়াবসহ ট্রলারলার আটকের ঘটনায় আলোচনায় আসছে স্থানীয় এক হাইব্রিড নেতা সহ কয়েকজন সিন্ডিকেটের নাম।
গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়ার আবছারকে আটক করে বিজিবি। তার জিজ্ঞাসাবাদের তত্ত্বের ভিত্তিতে ডাংগর পাড়া মোঃ আমিনের বাসায় ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে পরে ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহার করায় সন্দেহজনক ট্রলারটি আটক করে। এসময় সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও এদের জন্য লবিং শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ভুক্ত ইয়াবা কারবারিরা।
বিজিবির হাতে আটক-জালিয়া পাড়ার আবুল কালামের পুত্র নুরুল আবছার ( ২২) আটক হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে প্রকৃত ইয়াবার মালিক ড়াংগর পাড়ার মকতুল হোসেনের পুত্র মোঃ আমিন।
মোঃ আমিনের নৌকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার করে আসতেছে কিন্তু এই ইয়াবা বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে ডাংগর পাড়া গুন্ড বশিরের পুত্র ঈমান হোসেন নিজস্ব পিকাআপ গাড়ি নিয়ে ইয়াবা পাচার করে।
জানা যায়, মোঃ আমীনের নৌকা করে সরাসরি মায়ানমার থেকে ইয়াবা এনে শাহপরীরদ্বীপ বিভিন্ন এলাকার একটি সিন্ডিকেটের কাছে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছে তারা। তারা এক সপ্তাহ পর পর ভোরে ইয়াবার চালানটি ট্রলার থেকে পূর্ব পরিকল্পনা মত সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিয়ে যায়।
সিন্ডিকেটের সদস্যের নাম উত্তর পাড়ার ফরিদ আহমেদ(৪৫), বিডিআর শুক্কুরের ছেলে ফারুক (৩২), হাসান মাঝির ছেলে ফারুক (২৮),ছৈয়দের পুত্র আব্দুল করিম (৩৩)।
স্থানীয় এক যুবক নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক তিনি বলেন,যে ইয়াবা গুলো বিজিবির হাতে আটক হয়েছে সেই গুলো মুলত কয়েকজনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা পাচার করে ঈমান হোসেন। ঈমান হোসেনকে ব্যবহার করে তিনি আরো বলেন, আজকে যে গাড়ি করে ইয়াবা পাচার করে সেই গাড়িটি আজ ঈমান হোসেনের বাসার সামনে দেখা গেছে ইয়াবা আটক হওয়ার কথা জানানর পর গাড়িটি টেকনাফের উদ্দেশ্য চলে যায়।
এদিকে ইয়াবার চালানে ব্যবহৃত ট্রলার আটকের ঘটনা প্রকাশ পেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে গাঁ ঢাকা দিয়েছে এলাকার কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়,
শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়ার নৌকার ঘাটের কথিত বোট মালিক সমিতির নেতা দালাল গফুর ঘাট পাহারাদার বাইল্যা, মোঃ আমিনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার একটি সিন্ডিকেট ব্যবসা করে আসছে। তাদের মায়ানমারের সিন্ডিকেটটি এই সিন্ডিকেটের অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে শাহপরীরদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ যায়েদ হোসেন জানান, পশ্চিম পাড়া নৌকার ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত ইয়াবা পাচার হয়ে যাচ্ছে তবে আমার টীম এদেরকে আটক করার জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে।
Leave a Reply