1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করতে টেকনাফে সুশীলনের প্রদর্শনী মেলা টেকনাফ তুলাতুলি ঘাট থেকে ১৮০ হাজার ই’য়া’বা জব্দ  ইউএনও’র অনুমতিপত্র জা/লি/য়া/তি করে মিয়ানমারে নির্মাণ সামগ্রী পাচার’ শীর্ষক সংবাদের একাংশের তীব্র প্র/তি/বা/দ টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, রোগীদের ভোগান্তি চরমে কক্সবাজারে বিজিবি সিও’র ইয়াবা ভাগাভাগি প্রধান উপদেষ্টার নিকট টেকনাফের সায়েম সিকদারের খোলা চিঠি ‎হ্নীলায় টমটম চলকের নি’খোঁ’জ ম’র’দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চলছে তর্কের লড়াই নয়া ফরম্যাটে হবে বিএনপির পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি স্থানীয় ও দেশিয় লবণ চাষিদের বৈষম্য করা হলে জুলাই / আগস্টের বিপ্লবের কি প্রয়োজন ছিল- মানববন্ধনে বক্তারা যৌথ অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবা সহ আটক ৬ পাচারকারী

টেকনাফের বাহার ছড়া এলাকায় জেলেদের মাসিক মাসোয়ারা কথা কাটাকাটি জেরে সংঘর্ষ আহত ৪, (পর্ব- ১)

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১ মে, ২০২১
  • ৩০২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি

কক্সবাজার টেকনাফ বাহার ছড়া এলাকায় জেলেদের মাসিক মাসোহারার টাকার কথা কাটাকাটি নিয়ে জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানাগেছে। ৩০ এপ্রিল রাতে জাহাজ পুরা ভূমি অফিসের পেছনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানাগেছে। স্থানিয় সূত্র বলছে, শামলাপুর হতে দক্ষিনে ৯নং ওয়ার্ডের শেষ পর্যন্ত বঙপসাগরের কোল ঘেঁষে যে সমস্ত নৌকা বা বোট মাছ ধরার জন্য সাগরে নামেন তাদের সকল কে একটি মাসিক মাসোহারা দিতে হয় তাদের সংগঠন বা মহাজনদের। যা তাহারা পরে স্থানীয় দালাল বা বিভিন্ন কর্তার কাছে পৌঁছে দেন বলে নিশ্চিত করেছে একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলে। অদ্য ৩০ এপ্রিল মাস শেষে নতুন মাস শুরু হওয়ার আগে ঐ মাসিক মাসোহারার বাকী টাকা চাইলে জেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘাতে রুপনেয়। এক নৌকার মালিকের অভিযোগ, বাহার ছড়া এলাকার প্রতিটি ঘাট হতে প্রতি নৌকার পেছনে মাসে ১০০০ করে মাসোহারা দিতে হয়, যা পর্যায় ক্রমে দালাল সহ অনেক কর্তার কাছে পৌঁছে। যদি কোন কারণে এক মাস দিতে না পরে তাহলে সে মাসে বোট নামতে পারেনা ও বিভিন্ন প্রসাশনের ধমক দেখায় দালাল চক্র।

এদিকে সচেতন মহলের দাবি, মাসি মাসোহারা কথা-কাটাকাটির দাবিতে যে সংঘর্ষ হয়েছে তা জেলেদের জাল চুরির ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহীত করতে মরিয়া কিছু দালাল চক্র। তাথে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাগর কেন্দ্রীক যদি প্রায় হাজার খানেক বোট বা নৌকা থাকে তা থেকে প্রতি মাসে ১০০০ (এক হাজার)টাকা করে মাসোহারা নিলে দশ (১০) লাখের মত টাকা উঠে। এ টাকা কোথায় যায়, কে বা কার মারফতে দালাল চক্র হাতিয়ে নেয় তা অনুসন্ধান চালিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভোক্ত ভোগী জেলের বোট মালিক। নোয়াখালী পাড়ার রহমত মাঝি বলেন, যাহারা প্রদীপের আমলে লিয়াকতের জন্য টাকা নিত তারাই এখন মাসিক মাসোহারা নেয়। মৎস্য বিভাগের সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী যে বোট বাংলাদেশী জেলেদের নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার কথা, তা না করে বিপরীতে রোহিঙ্গা শ্রমিক ও মাঝি মাল্ল নিয়ে সাগরে মাছ আহরনে যায়। যার কারণে রাষ্ট্র বা দেশীয় জেলে শ্রমিকদের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি বোটে রোহিঙ্গা শ্রমিক থাকার কারণে কৌশলে মাছের পরিবর্তে ইয়াবা নিয়ে ঘটে নোঙ্গর করেন শত শত বোট। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত মানব পাচারে তো অবাধে বোট ব্যবহার হচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এ রকম চলতে থাকলে যেমন ক্ষতি হবে রাষ্ট্রের তেমন আরো প্রতিষ্ঠিত হবে মাদকের ব্যবসা। আর দেশ হারাবে লাখ লাখ টাকার রাজাস্ব। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান ও নজরদারি জোরদার করার আহ্বান স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!