1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হ্নীলা সিএনজি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মেহেদীর উপর স’ন্ত্রা’সী হা’ম’লা খুব শীঘ্রই নাম পরিবর্তন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ সিঙ্গেলদের ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ১০ উপায় কাল শুক্রবার পবিত্র শবে-বরাত দীর্ঘ ৮ বছর পর ৫ শর্তে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি পেলেন জেলেরা টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী সাদ্দামের বিরুদ্ধে মি’থ্যা মা’মলা, মুক্তির দাবিতে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় সেন্টমার্টিন থেকে দু’দিনে ৪১০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ প্রকাশিত সংবাদের এনাম মেম্বারের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা ট্রলারসহ ৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি

টেকনাফে মারোত এর সহযোগীতায় পরিবার ফিরে পেল ব্রাহ্মণবাড়িযার আক্তার মিয়া কে

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৯ জুন, ২০২১
  • ৩২৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরাফাত সানী,কক্সবজার টেকনাফের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত)’র সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, আইটি ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী ও সদস্য আব্দু রহিম এর সহযোগিতায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ানো, যত্রতত্র পড়ে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আক্তার মিয়াকে দুই বছর পরে ফিরে পেল তার পরিবার।

অসহায়, মানসিক ভারসাম্যাহীন হয়ে পড়া রোগীদের নিয়ে কাজ করা এই সংগঠন ইতিমধ্যে এভাবে আরও ২৯ জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

বুধবার ৯ই জুন সকাল ১১ টার দিকে মারোতের উদ্যোগে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৩০ তম মানসিক রোগী আক্তার মিয়াকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।এ সময় তার মা ফূলজাহান ও চাচাতো ভাই মোঃ আলী তাকে গ্রহণ করেন।

সংগঠনের সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, উপস্থিত ছিলেন সংগঠন এর সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, আইসিটি ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, সদস্য আব্দু রহিম, অনিমেষ বড়ুয়া,আনোয়ার শাহ ও আক্তার মিয়ার মা ফুলজাহানসহ পরিবারের সদস্যরা ।

সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানাধীর নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাসিন্দা আক্তার মিয়া মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঘর ছাড়া হয় প্রায় দুই বছর আগে। এর পর থেকে অজানা অচেনা পথে ছুটে চলা আক্তার মিয়া টেকনাফে আসলে কিছুদিন আগে মারোতের সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া ও সদস্য আব্দু রহিমের দৃষ্টিগোচর হলে কথা প্রসঙ্গে বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নাটঘর বলে জানায়। এ নিয়ে আবদু রহিম বিভিন্ন কৌশলে নাটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বারের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা চালিয়ে পরিবারের খোঁজ পেয়ে একপর্যায়ে তাদের সাথে কথা হয় ভিডিও কলের মাধ্যমে নিশ্চিত হলে পরিবার আক্তার মিয়াকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
তার‌ই ধারাবাহিকতায় ৯ ই জুন বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তার পরিবারের সদস্যরা টেকনাফ এসে পৌঁছালে মা ছেলেকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে এক আবেগময় অনুভূতির সৃষ্টি হয়। মারোতের উদ্যোগে ইতিপূর্বে ২৯ জনকে নিজ নিজ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মরোত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ২০১৭ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে অবহেলিত ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের সেবার উদ্দেশ্যে ফার্মেসি ব্যবসায়ী রাজু পাল, পল্লী চিকিৎসক ঝন্টু বড়ুয়া, টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীলসহ কয়েকজনকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন রয়েছে আমাদের সাথে। এরইমধ্যে করোনাকালীন লকডাউনে প্রায় ২৮৮ দিন পর্যন্ত মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের মাঝে নিয়মিত খাবার বিতরণ এবং কাপড়সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!