বার্তা পরিবেশক
ইয়াবা, হুন্ডি ও সোনারবারের ব্যবসা দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। প্রশাসনের নজরদারী দাবী করছে সচেতনমহল। খোদ টেকনাফের জালিয়াপাড়াতেই ১২-১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট ।টেকনাফ বন্দরসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমুহে তাদের রয়েছে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। আবার চক্রটির কেউ কেউ ইয়াবা ব্যবসা, আর কেউ কেউ হুন্ডি ব্যবসা এবং কেউ কেউ সোনারবারের ব্যবসা করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেদারছে। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছে সচেতনমহল। দক্ষিন জালিয়াপাড়া এলাকার আবু সিদ্দিক,লামার বাজার এলাকার মোস্তফা কামাল, উপজেলা এলাকার নুর হোসেন, ইসলামি ব্যাংকের পাশাপাশি এলাকার হামিদ উল্লাহ, অলিয়াবাদ মসজিদ মার্কেট এলাকার ইলিয়াস। এই সিন্ডিকেটের গডফাদার হিসেবে স্থানীয়দের মধ্য রয়েছে, মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকার হোসেন আহাম্মদের ছেলে টিটি জাফর ও তার ভায়রা ভাই একই এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে সিরাজ মিয়া ও তার ভাইপো সাইফুল। মোস্তাক বোকারির ছেলে হাসান, কাদেরের ছেলে তাহের ও উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকার মালেক্কার ছেলে আবদুর রহিম, আমির হোসেনের ছেলে জিয়াবুল ও সাবেক মেম্বার আয়াছ। লামার বাজার এলাকার গফুর সওদাগর ও সবুর এবং বড় বাজার এলাকার সজিব। মদ্যম জালিয়া পাডার কেফায়ত উল্লাহ পিতা হাজী সৈয়দ আলম ও পুরান পল্লন পাডার ফারুক পিতা হাফেজ আবু বক্কর। উল্লেখ্য,গত ১৯জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে ১৪ এপিবিএন সদস্যরা একটি বসতবাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৭০ভরি ওজনের ৩টি স্বর্ণের বার সহ বাংলাদেশী নগদ ২৬লাখ টাকা, মায়ানমার মুদ্রা ৩১লাখ ৭৪হাজার ৮শ কিয়াত ও বিভিন্ন আকৃতির স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে। ঘরের মালিক মোঃ ইসলামের পুত্র মোঃ আইয়ুব (৩৪) এবং নুরুন্নেসা (৩৩) রোহিঙ্গা দম্পতিকে আটক করেছে। এই ঘটনায়ও এই চক্রের সদস্যরা জড়িত আছে বলে দাবী করছে এলাকাবাসী।
সূত্র, দৈনিক আলোকিত উখিয়া
Leave a Reply