বিশেষ প্রতিবেদক ঃ
কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া এলাকার মাহমুদুল করিম সিএনজি কমিটির লাইন ম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখায় তাহাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে তাহার পরিবারের দাবি । গত ১২ অগাস্ট সকালে বাহারছাড়া – হোয়াইক্যং ঢালার গহীন পাহার হতে একটি গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । মাহমুদুল করিম (৩৯) টেকনাফ বাহারছড়া উত্তর শিলখালীর ছালেহ আহম্মদের পুত্র। উদ্ধার হওয়া লাশ টি দেখে পরিবারের সদস্যরা মাহমুদুল করিম বলে সনাক্ত করেছে । পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ টি কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়। অদ্য (১৩ অগাস্ট) বাদে আছর তাহার জানাযা সম্পন্ন করে পারিবারিক কবর স্থানে দাপন করা হয়।
টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বলেন, হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতাভুক্ত এলাকা গলিত লাশের সন্ধান পেয়েছে বলে বনবিভাগরে কর্মকর্তারা খবর দিলে আমরা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে টেকনাফ থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের ভাই নুরুল কবির জানায়, আমার ভাই কে টেকনাফ -হোয়াইক্যং সিএনজি কমিটির নেতা বানিয়ে লাইন ম্যান দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বাহার ছড়ার মুস্তাফিজুর রহমান এর পুত্র শহীদুল্লাহ, সিএনজি কমিটির সভাপতি আইয়ুব আলী, আব্দুল হাই এর পুত্র মুর্শেদুর রহমান, ছালেহ আহম্মদের পুত্র মোঃ আলম, সালামত উল্লাহর পুত্র মিজান, লালমিয়ার পুত্র মুফিজ সহ আঘাত কেরা। পরে তাদের কমিটি ও সিএনজি চালকদের সর্ব সম্মতি ক্রমে লাইন ম্যান বানানোর সিধান্ত বাস্তবায়ন হলে, দায়িত্ব হস্তান্তর করার আগেই বর্তমান কমিটির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ মোটা অংকের টাকা বাজেট করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দিয়ে পাহাড়ে অপহরণ করে আমার ভাই কে হত্যা করে। শুধু তাই নয় উক্ত হত্যাকান্ড কে ধামাচাপা দেয়ার জন্য মোটা অংকের বাজেট নিয়ে সিএনজি কমিটির লোক জন মিশনে নেমেছে বলেও শোনা যাচ্ছে ।
প্রধান মন্ত্রীর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ।
নিহতের স্ত্রী বলেন, ২৯ জুন রাতে সিএনজি যোগে হোয়াইক্যং ঢালা দিয়ে বাড়ি আসার সময় আমার স্বামী ও মিজান নামে অপর জন কে কুদুমগুহা নামক স্থানে পৌঁছা মাত্রই ৮/১০ জনের সশস্ত্র গ্রুপ তাদের গাড়ি গতি রোধ করে মাহমুদুল হক ও মিজানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কয়দিন পরে ২০ হাজার টাকা মু্ক্তিপণ নিয়ে মিজানকে মুক্তি দিলে ও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে আমার স্বামী মাহমুদুল করিম কে মুক্তি দেয়নি অপহরণকারীরা। অপহরণের বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারীসহ ছয় (৬) রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন বলেন, আমার বাহার ছড়া ইউনয়ন থেকে অতীতে একাধি স্থানীয় যুবক রোহিঙ্গাদের হাতে অপহৃত হয়েছিল । সবাই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে পারলেও মাহমুদুল করিমের ফেরা হয়নি। সঠিক তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি ।
এ বিষয়ে টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায়, মাহমুদুল করিম কে অপহরণে ও মুক্তি পনের দায়ে ছয় ( ৬) রোহিঙ্গা কে আটক করে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে। এখন হত্যা মামলার ধারা যুক্ত করে মামলা চলমান থাকবে।
Leave a Reply