নিজস্ব সংবাদদাতা:: রামু
দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা, মদ, জুয়ার রমরমা আসর বসে রামু চৌমুহনীস্থ হোটেল মীম এর একটি কক্ষে। আর এসবকে ঘিরে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে শেল্টার নিচ্ছে ইয়াবা সোহেল প্রকাশ চুর সোহেল।
সোহেল রামু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ইয়াবা,মদ সংগ্রহ করে মীম হোটেলের একটি কক্ষে সেবন করার জন্য দেদারসে বিক্রি করে চলছে।
আর এসব ইয়াবা সেবন করতে তার একটি শক্তিশালী সেন্ডিকেট রয়েছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধ আংগুল দেখিয়ে তার এমন অভিনব কায়দায় মাদক কারবারির পাশাপাশি পতিতা সাপ্লাইও দিচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
খুঁজ নিয়ে জানা যায় যে, সোহেল রামু মন্ডল পাড়ার আবু বকর নামের এক অসহায় পরিবারের ছেলে। একসময় তার পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরালেও এখন উপজেলা চেয়ারম্যানের বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে নাম ব্যবহার করে ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসা করে বনে যান লাখ লাখ টাকার মালিক।
রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালার একটি ইয়াবা ও যৌন পতিতা পরিবারের সাথে ইয়াবা সোহেল প্রকাশ ছাগল চুর সোহেল বিশেষ সক্ষতা গড়ে তুলে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে এসব মাদক।
বিভিন্ন সময় এলাকার লোকজন এই পরিবারকে বারংবার বারন করলেও ইয়াবা সোহেলের প্রভাব খাটিয়ে চলছে এই অবৈধ ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসা। এ নিয়ে এলাকা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ইয়াবা সোহেলের নেতৃত্বে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের (৫) নম্বর ওয়ার্ড নাদের পাড়ার হাজি কবির আহমদের পুত্র আবু ছৈয়দ ভুলু ও আবু রায়হান শুরুর দিকে স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ডিপ ফ্রিজ (পায়ুপথে) ইয়াবা চালান পাচারের মধ্যদিয়ে ইয়াবার লাল দুনিয়ায় প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে লোহাগড়া থানা পুলিশের হাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক হয়।
দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে ছাড়া পায়।জেল থেকে বাহির হয়েও মাদক কারবারি রায়হান ও তার বাবা ভুলু ও সোহেলের পৃষ্টপোষকতায় আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আবু রায়হানের একটি সিএনজি রয়েছে যে সিএনজি দিয়ে প্রশাসনের একটি হর্ন লাগিয়ে ইয়াবা সাপ্লাই দিচ্ছে জেলার বিভিন্ন হোটেল মোটেল কটেজ জুন গুলোতে
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জোয়ারিয়ানালা এক সমাজ নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহেলের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় একটি পরিবার পুরোপুরিভাবে ইয়াবা ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদেরকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এসমস্ত অসামাজিক ও ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত বারন করা হলেও এসবকে তোয়াক্কা না করে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিশেষ বাহিনীর ভয় দেখিয়ে ফের চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা মাদক ও ইয়াবা ব্যবসা।
গোপন সূত্রে জানা যায় যে, ইয়াবা সেবন করার জের ধরে এই পরিবারের দুটি মেয়ের সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে একটি কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা সোহেল।
এদিকে রামুর এই শীর্ষ মাদক ও পতিতা ব্যবসায়ী সোহেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল সরোয়ার কাজল তার আপন চাচা পরিচয় দিয়ে ও প্রতিবেদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মোবাইল ফোন কেটে দেন
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন জানান, সোহেলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে তবে তদন্ত করে সঠিক প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
Leave a Reply