মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ
বছর ঘুরে আবার এসেছে খুশির ঈদ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর মঙ্গলবার এই খুশির ঈদ উদযাপনের জন্য প্রস্তুত মুসলমানরা। প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে অনুরণিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই কালজয়ী গান ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’।
ঈদ উপলক্ষে ঘরে-ঘরে জনে-জনে শুরু হয়েছে আনন্দ। মঙ্গলবার সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজের পরই কোলাকুলিতে ঘোষিত হবে সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মহিমা।
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ ঈদুল ফিতর উদযাপনে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে টেকনাফ পৌরসভা ঈদগাহ ময়দানে।
এতে ইমামতি করবেন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া টেকনাফ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মৌলানা মুফতি মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ ।আল জামিয়া আল ইসলামিয়া টেকনাফ মাদ্রাসা ও টেকনাফ পৌরসভার আয়োজনে প্রধান ঈদ জামাতে বৃষ্টি হলেও যদি মাঠে পানি না জমে তাহলে ঈদের জামাত আদায় করা যাবে বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই আনন্দ-উৎসব সামাজিক সম্প্রীতি আর সাম্যচেতনায় ভাস্বর। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দে শামিল হবে-এটাই এই উৎসবের মূল মর্মবাণী। মাসজুড়ে রোজা পালনের মাধ্যমে সংযম আর ত্যাগের শিক্ষা অর্জন এই আনন্দের জন্য প্রস্তুত করেছে প্রতিটি মুসলমানকে।
ধনী-গরিব সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করছে স্বজন-পরিজন নিয়ে দিনটি উদযাপনের। ঈদের কেনাকাটা সেরে তাই সবাই ছুটেছে মাটি ও নাড়ির টানে শহর ছেড়ে গ্রামে। স্বজন-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলনের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে পথে পথে।এখন ঘরে ঘরে চলছে পিঠা-পায়েস বানানোর তোড়জোড়। শিশু-তরুণ-বৃদ্ধ সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে ঈদগায়ে গিয়ে নামাজ আদায়ের। কিশোরী-তরুণীরা বসছে মেহেদিতে হাত রাঙাতে।
সরেজমিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, গত ১৫ দিন ধরে ঈদে জামাতের জন্য সুসজ্জিত করে প্রস্তুত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানকে। পুরো মাঠে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।বৃষ্টিতে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য ওপরে দেওয়া হচ্ছে মোটা ত্রিপলের ছাউনি। পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও।
টেকনাফ পৌরসভা ঈদগাহ ময়দানের চারপাশ জুড়ে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আইনশৃংখলা বাহিনী।
টেকনাফ পৌরসভার ৮নং কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইতোমধ্যে টেকনাফ পৌরসভা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
টেকনাফ পৌরসভার পক্ষ থেকে যথারীতি ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করবো পৌরবাসী সকাল সাড়ে ৮ টার আগেই ঈদের মাঠে চলে আসবেন।
Leave a Reply