মোঃ আরাফাত সানি,টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের ব্লেডকাঘাতে সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর লম্বরী হযরত ফাতেমা (রাঃ) আদর্শ বালিকা ও নুরানী মাদরাসার শিশু শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ছাত্রটির নাম আরশাদ আমিন (৬), পিতা আবদুল আমিন। এ ঘটনা নিয়ে উক্ত এলাকায় ও অভিভাবক- স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই শিক্ষক কথায় ইতিপূর্বে শিক্ষকের সাথে জাঁকি জালে মাছ শিকার করতে গিয়ে হেফজ খানার অপর এক ছাত্রের মেরিন ড্রাইভে মাথাবিহীন মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল। তবে কতৃপক্ষ বলেছিলেন তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
ছাত্রের পিতা জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে চুল কাঁটার কৌশলে চুরিকাঘাত করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমি ছেলের বাবা চুল কাটতে হলে আমাকে বলতে পারতো একজন শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্ত পরিকল্পিত।আমি তার শাস্তি কামনা করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ ইসলামের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি চুরি দিয়ে ছাত্রকে আঘাত করিনি। আমি সকল শিক্ষার্থীদের কয়েকদিন আগের চুল কাটতে নিদর্শনা দিয়েছিলাম শ্রেণীক্ষকে কিন্তু কয়েকজন ছাত্র চুল লম্বা হলে। আমি নিজে ব্লেড দিয়ে দিয়ে চুল কাটতে গিয়ে ব্লটের আঘাতে ছাত্রের মাথা কেটে যায়। এটা আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয় হযরত ফাতেমা (রাঃ) আদর্শ বালিকা ও নুরানী মাদরাসার শিক্ষক ও পরিচালক ওমর ফারুক জানান, আমি কক্সবাজার ছিলাম তবে আমি অবগত হয়েছি। এক ছাত্র আহত হয়েছে। তবে এটা চুরির আঘাত নয়। মাদরাসার শিক্ষক ছেলের চুল লম্বা হওয়ার কারণে ব্লেড দিয়ে চুল কাটতে গিয়ে ছাত্রের মাথার কেটে যায়, সাথে সাথে ছাত্রকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক যদি কোন ধরনের পরিকল্পিত বা জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###
Leave a Reply