আশিকুর রহমান হৃদয়, শরীয়তপুর থেকে
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় ঘটেছে। ঐ ঘটনায় ধর্ষণকারীদের-বিরুদ্ধে মামলা হলে ১৫ দিনে পেড়িয়ে গেলেও এখানো আসামিদের গ্রেফতার করতে পারে নি ভেদরগঞ্জ পুলিশ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পরিবারের সহযোগীতায় বিদেশে পাঠানোর পায়তারা চলছে।
ঘটনার পর থেকে লোকলজ্জায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ঐ কিশোরীর। এ ঘটনায় ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা হলেও আসামিপক্ষের চাপে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলার আসামিরা হলো, ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর দাসপাড়া গ্রামের অসীম দাসের ছেলে অর্পণ দাস (১৯), একই এলাকার শ্যামল দাসের ছেলে দুর্জয় দাস (১৯) এবং দক্ষিণ মহিষার গ্রামের মোক্তার সরদারের ছেলে মুবদি সরদার (১৮)। তারা সবাই সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ১ ও ৩ নম্বর আসামি ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার স‚ত্রে জানা যায়, মাসখানেক আগে জন্মদিন অনুষ্ঠানের কথা বলে সাজনপুর বাজার থেকে ঐ ছাত্রীকে অর্পণ দাসের বাড়িতে নিয়ে যায় দুর্জয় দাস ও মুবদি সরদার। বাড়িতে গিয়ে জন্মদিন অনুষ্ঠানের ফাঁকে ঐ ছাত্রীকে রুমে যায় বন্ধু। এক পর্যায়ে দুর্জয় ও মুবদির সহযোগিতায় মেয়েটিকে জোরপ‚র্বক ধর্ষণ করে অর্পণ দাস। তাদের এসব কর্মকাণ্ড আবার মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয় । ধর্ষণের পর থেকেই মেয়েটিকে আবারও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে দুর্জয় ও মুবদি। তবে ঐ কিশোরীকে তাদের প্রস্তাবে কোনোভাবে রাজি করাতে না পেরে সেদিনের ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপটি ইন্টারনেট ও ফেসবুক মেসেন্ধসঢ়;জারে ভাইরাল করে দেয় অভিযুক্তরা। এরপর থেকে লোকলজ্জায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ঐ কিশোরীর।
গত ৫ জুন ভেদরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে এক মামলা দায়ের করে ঐ কিশোরী। তবে মামলা হলেও এখনো আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় উলটো মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে ও আসামীদের দ্রুত ইন্ডিয়া পাঠানোর পায়তারা করার অভিযোগ ঐ কিশোরীর পরিবারের।
ঐ কিশোরী সাংবাদিকদের বলে, ওই তিনজনের কারণে আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ওদের বিচার চাই। আসামিরা অনেক প্রভাবশালী, তাদের নানারকম চাপের মধ্যে আছি। সামনে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারব কি না জানি না।
সাজানপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, এর আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে স্কুল থেকে টিসি দেয়া হয়েছিলো।মামলা যেহেতু হয়েছে আমি চাই ধর্ষকদের আইননুসারে সাজা হউক।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহালুল খান বাহার বলেন, আসামী সহ তাদের পরিবারের সকলেই পলাতক রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply