নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
টেকনাফে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র পরিবেশগত অবস্থা মূল্যায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ডিসেম্বর) বিকেল ৩ ঘটিকার সময় টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও গ্রীন কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল হোসাইন’র সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নাছির উদ্দিন রাজ’র পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) কক্সবাজারের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক শরীফ জামিল।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন,ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক ইকবাল ফারুক,
যুব( বাপা)’র কেন্দ্রীয় সদস্য দেওয়ান নুরতাজ আলম,কক্সবাজার বাপা’র সাধারন সম্পাদক করিম উল্লাহ,সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল, কক্সবাজারের গ্রীন কক্সবাজার স্বাস্থ্যের নির্বাল পাল।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,টেকনাফ পৌর শাখার নির্বাহী সদস্য রেজাউল করিম,উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ফরিদ বাবুল, সদস্য রহিম উল্লাহ, জসিম উদ্দিন ইমন, মানবাধিকার কমিশন টেকনাফ পৌর শাখার সাংস্কৃতিক সস্পাদক হাফেজ আহমদ, সদস্য মরিয়ম বেগম ও রেহেনা আকতার।
নাফ টিভি চ্যানেলের কারিগরি সম্পাদক খোরশেদ আলম, জিয়াবুল, জাহাঙ্গীর আমসহ সহ স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) কক্সবাজারের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, টেকনাফে উন্নয়নের নামে চলছে পরিবেশ ধ্বংসের মহা কর্মযজ্ঞ। পরিবেশ প্রকৃতি না বাঁচলে এক সময় কক্সবাজার টেকনাফে ধ্বংসের পথে চলে যাবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সবসময় পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আমাদের প্রাণ যতদিন থাকবে জন্মভূমি কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। যত প্রভাবশালী হোক না কেন পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চললে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
কক্সবাজার বাপা’র সাধারন সম্পাদক করিম উল্লাহ বক্তব্যে বলেন,টেকনাফে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে চলে গেছে। পানি সংকটে ও লবণাক্ততার কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। নাফ নদী রক্ষার নামে সর্বদলীয় নেতারা দখল করে আছে।
তিনি বলেন, এদেশ আমাদের। রক্ষার দায়িত্বও আমাদের সকলের। দখলদার ও পরিবেশ ধ্বংসকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো বাপা’র পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
এসময় টেকনাফের প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার অনুরোধ জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক শরীফ জামিল বক্তব্যে বলেন, কক্সবাজার থেকে শুরু করে টেকনাফ পযর্ন্ত পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংসের পথে। সমুদ্র সৈকত, পাহাড়-পর্বত, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ধ্বংস হতেই চলেছে। টেকনাফের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। জাতীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা ৮টি উপজেলার পরিবেশ প্রকৃতির অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করবো। আপনারা টেকনাফ কক্সবাজারকে কে রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরিবেশ ধ্বংস করে এমন অনেক প্রকল্প ইতিমধ্যে আপনাদের আন্দোলনের চাপে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply