নিজস্ব প্রতিনিধি,টেকনাফ
টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উত্তর শিলখালী এলাকার মৃত আমহদুল হক এর পুত্র হেলাল উদ্দিন বাহিনীর হামলায় একই এলাকার মৃত আলী আহমদ পুত্র আব্দুল গফুর গুরুতর আহত হয়েছে।
১৪ জানুয়ারি (শনিবার) রাত আনু: সাড়ে ৯ঘটিকার সময় উত্তর শিলখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, আসামিরা হলেন, ১/ হেলাল উদ্দিন (২৮), ২। জসিম উদ্দিন (৩০), উভয় পিতা-মৃত আমহদুল হক, ৩। নজরুল ইসলাম ডালিম (২৪), পিতা-হোছন আলী, ৪। গুল আকবর (৩৫), পিতা- রশিদ আহমদ, সর্ব সাং-উত্তর শিলখালী, ৩নং ওয়ার্ড, বাহারছড়া ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
থানায় দেওয়া এজাহার সুত্রে বেলাল জানায়, গত, ১৪ জানুয়ারী রাত অনুমান সাড়ে ৯ ঘটিকার সময় আমার ভাইয়ের বাড়ীর আঙ্গিনায় বন্য হাতি প্রবেশ করে আমার সুপারী গাছ সহ বিভিন্ন ফলজ গাছ নষ্ট করে ফেলে। আমি এবং স্থানীয় লোকজন দেখতে পাই যে, উপরোক্ত আসামীরা লাঠির মাথায় আগুন জ্বালিয়ে বন্য হাতি তাড়া করিলে উক্ত হাতি আমার ভাইয়ের বাড়ীর আঙ্গিনায় প্রবেশ করে। সাক্ষীসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে আমার ভাই এজাহার নামীয় বিবাদীদের বন্য হাতি তাড়া করতে নিষেধ করিলে উপরোক্ত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ভাইয়ের উপর হাতে লাঠি, লোহার রড, খুস্তা, রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে আমার ভাইয়ের বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে।
উক্ত আঘাতের ফলে ভিকটিম আমার বড় ভাই আব্দুল গফুর সওদাগর মাটিতে পড়ে গেলে ৪নং বিবাদী গুল আকবর লোহার রড দ্বারা ভিকটিমকে এলোপাতাড়ী আঘাত করিলে। ডান পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলে পড়ে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। আমার ভাইকে উদ্ধারের জন্য ২নং সাক্ষী আমার স্ত্রী শাহেদা বেগম (৩৮) আগাইয়া গেলে ১নং বিবাদী চুলের মুঠি ধরিয়া টানা হেচড়া করে। ১নং হতে ৪নং বিবাদীসহ অজ্ঞাতানামা বিবাদীরা আমার ভাইয়ের বাড়ীর দরজা-জানালা ভেঙ্গে প্রায় ১৫,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং বিবাদীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ভাইয়ের আর্থিক ক্ষতি সাধনের জন্য বাড়ীর আঙ্গিনার ৭০ টি সুপারী গাছ ভাঙ্গিয়া প্রায় ১,৪০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে । তাহারা ডাক চিৎকার করিলে তাদের বাচাঁনোর জন্য ঘটনাস্থলের আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা তাদের ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিয়ে চলিয়া যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ভিকটিমদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে। পরে বিবাদীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ পূর্বক আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলাপ আলোচনা করে টেকনাফ থানায় এসে এজাহার দায়ের করি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযুক্ত ১নং আসামী হেলাল উদ্দিন কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকী আসামীদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply