দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি আবুল কাশেমের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে
সন্তানকে উচ্চ শিক্ষা নয়।মানবিক শিক্ষা দিন।বয়োবৃদ্ধ লোকটির নাম অনিবার্য কারণ বশত প্রকাশ করলাম না।ঠিকানা কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায়।একমাত্র ছেলে উচ্চ শিক্ষা শেষ ও করেছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে।বর্তমানে কর্মজীবনে আছে।আবার সরকারী কর্মচারী ও বটে। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কাটছে বিলাসী জীবন।অথচ যে মা বাবা হাজারো স্বপ্ন লালন করে পৃথিবীর আলো দেখলো। যার কারণে সমাজ ও কর্মজীবনে সফল ও প্রতিষ্ঠিত। আজ সেই হতভাগা বাবা চিকিৎসার খরচ যোগাতে ভিক্ষা করছে কক্সবাজার ফুটপাতে ।
সেই রকম কুলঙ্গার সন্তান যেন আল্লাহ পাক কোন মা বাবার কপালে না জুটে।যে সন্তানের জন্মে মা বাবা সেদিন খুশিতে আত্মহারা হয়েছিলো।যে সন্তানকে সমাজে মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজের শেষ সহায় সম্বল সম্পত্তি বিক্রি করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করলো।সেই সন্তানের জীবন কাটছে আজ বিলাসী জীবনে। ভাগ্যের কি নিয়তি সন্তান মানুষ হয়েছে ঠিকই।তবে মানবিক মানুষ হয়নি।যে সন্তানের সু সময়ে মা বাবার সুখের দিন ফিরে আসবে কাটবে সুখের দিন।কিন্তু সন্তানের সেবা তো দুরেই থাক।আজ সেই বাবার সময় কাটছে চিকিৎসার খরচ যোগাতে ভিক্ষা করে।চাচা আসলেই ভিক্ষুক নয়। কাকতালীয় লজ্জা মাখা মলিন চেহারায় কিছুই একটা বলার চেষ্টা করছিলেন আবার ইতস্ততবোধ ও করেছিলেন।আমি একটু এগিয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম চাচা কিছু বলবেন।সে হতচকিত হয়ে বললেন বাবা আমি ভিক্ষুক নয়।আমার চিকিৎসার জন্য তিনশো বিশ টাকা দরকার। এলাকার ডাক্তার টাকা ছাড়া বাকীতে চিকিৎসা করেছে।আমার এখন সেই টাকা দিতে হবে কিন্তু টাকা নাই।তাই এলাকা থেকে একটু দুরে এসে হাত পাতছি।তারপর জিজ্ঞেস করলাম সন্তান নাই বলতে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে ফেললো বিস্তারিত ঘটনা কান্না থামাতে ও অনেক কষ্ট হলো। সেই অসহায় বাবার ঘটনা শুনে সেই কুলাঙ্গার সন্তানের প্রতি খুবই ঘৃনা লাগলো।তারপর চাচার হাতে চিকিৎসার বাকী টাকা ও আরো কিছু টাকা হাতে বুঝিয়ে দিয়ে দিলাম।
মা বাবা যে সন্তানের জন্য কত বড় নিয়ামত যারা হারিয়েছে তারাই একমাত্র জানে।তাই সবাইকে বলবো।যাদের মা বাবা বেঁচে আছে তাদের সেবা ও যত্ন নিন।পরকালের নিজের টিকেট নিশ্চিত করুন।
তাই বলবো সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা নয়। মানবিক ধর্মীয় শিক্ষা দিন।
Leave a Reply