1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বোচ্চ দামে নিলাম পেলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সিআইপি টেকনাফে ৭০ হাজার মানুষ বেকার- কর্মহীন : জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে টেকনাফের হ্নীলাতে নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন টাকা লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুর থানায় অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স টিমে যোগ দিলেন সাংবাদিক হাফেজ আহমদ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন টেকনাফে প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার পলায়ন হয়রানী মূলক মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ৫ শিশুর মা! হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের যুব সমাবেশ অনুষ্টিত টেকনাফে জমি বিরোধের জেরে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে প্রতি পক্ষকে স’ন্ত্রা’সী সাজানোর পাঁয়তারার প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণ শাখা’র সদর ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন। বন্যার্ত ৫’শ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন টেকনাফ নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

কোরআন ও হাদীসের আলোকে মিরাজের তাৎপর্য

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৯০ বার পড়া হয়েছে

মো.আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ

মি’রাজ শব্দটি আরবি এর অর্থ সিঁডি, ঊর্ধ্বগমন, আরোহন। উরুজ ধাঁতু হতে শব্দটির উৎপত্তি। এর বহুবচন মাঁ আরিজ। ইসলামী পরিভাষায় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পবিত্র মক্কা থেকে বাইতুল মুকাদ্দিসে (জেরুজালেম) উপনীত হওয়া এবং সেখান থেকে সপ্ত আকাশ পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে আল্লাহর সান্নিধ্যে উপস্থিত হওয়ার ঘটনাকে মিরাজ বল। অপর এক হাদীসে উল্লেখ আছে, অতঃপর আমাকে লইয়া নিকটতম আকাশের দিকে উঠালেন। (বুখারী কিতাবুস সালাত হাদিস নং-১। মিরাজ কবে কখন ও কতবার সংঘটিত হয়েছে এ নিয়ে মতানৈক্য রয়েছ। নির্ভরযোগ্য হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ইহা একবার সংঘটিত হয়েছিল। ইহাই অধিকাংশ মুহাদ্দিস ও ফাকহীরা একমত পোষণ করেছেন। বুখারী ও মুসলিম সহ বিভিন্ন হাদিসর বর্ণনা অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু এর গিরি সংকটে উম্মু হানি (রাঃ) এর বাড়িতে ঘুমায় ছিলেন। জিবরাঈল( আঃ) সহ তিনজন ফিরিশতা তাহার নিকট আগমন করেছিলেন এবং তাহাকে কা’বার প্রাঙ্গণে গিয়া গেলেন এবং সেখান থেকে বুরাকে আরোহন ও যাত্রা শুরু করে মি’রাজের সূত্রপাত ঘটে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর মিরাজ কোরআন ও ছহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত বিষয়। এটি সঙ্ঘটিত হয়েছিল নুবুওয়াতের একাদশ বা দ্বাদশ বর্ষে হিজরতের এক-দুই বছর পূর্বে ৬২১ খ্রিষ্টাব্দে।
কোরআন মজীদের সূরা বনী ইসরাঈল ও সূরা নজমে মিরাজের কথা আলোচিত হয়েছে। তন্মধ‍্যে সূরা বনী ইসরাঈলের প্রথম আয়াতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে সেই রাতে মসজিদে হারাম (হারামে মক্কা) থেকে মসজিদে আকছা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আর সূরা নজমের ১ থেকে ১৮ নম্বর আয়াতে সিদরতুল মুন্তাহা পর্যন্ত পৌঁছে মহান আল্লাহর বড় বড় নিদর্শন দেখার কথা রয়েছে হাদীস শরীফে সিদরতুল মুনতাহা থেকে বাইতুল মামুর পর্যন্ত পৌঁছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
ছহীহ বোখারীতে বর্ণিত মিরাজ সম্পর্কিত সবচেয়ে দীর্ঘ হাদীসে উল্লেখ আছে হযরত মালিক বিন সা’স আনছারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যে রাতে উর্ধ্বজগতে ভ্রমণ করানো হয়েছে, সে রাতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “একদা রাতে আমি হাতীমে -অথবা হিজরে- শুয়েছিলাম। হঠাৎ একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন এবং আমার দেহের এ স্থান থেকে সে স্থানের মধ্যবর্তী অংশটি -বুকের উপরিভাগ থেকে নাভির নিচ পর্যন্ত- চিরে ফেললেন। অতঃপর আমার কলব (হৃদপিন্ড) বের করলেন। এরপর আমার নিকট ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হল। তারপর আমার হৃদপিণ্ডটি ধৌত করা হল (যমযমের পানি দ্বারা) এবং -সোনার পাত্রে আনীত- ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ করে যথাস্থানে পুনরায় রেখে দেয়া হল। তারপর আমার নিকট -বুরাক নামীয়- সাদা রঙের একটি জন্তু আনা হল, যা আকারে খচ্চর থেকে ছোট ও গাধা থেকে বড়, যার এক কদম ছিল দৃষ্টির শেষ প্রান্ত পর্যন্ত। আমাকে তার উপর সাওয়ার করানো হল। তারপর আমাকে নিয়ে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) চললেন। এক পর্যায়ে আমাকে প্রথম আসমানে নিয়ে এসে দরজা খুলে দিতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল (গেটম‍্যান ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে), আপনি কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আবার জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ! তখন বলা হল, তাঁকে স্বাগতম, খুবই উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হলো। আমি ওখানে পৌঁছে আদম (আলাইহিস সালাম)- এর সাক্ষাত পেলাম। তাঁর পরিচয় দিতে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে বললেন, ইনি আপনার পিতা আদম (আলাইহিস সালাম), তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্‌কার পুত্র ও নেক্‌কার নবীকে স্বাগতম। তারপর তিনি উপরের দিকে চলে দ্বিতীয় আসমানে পৌঁছুলে এবং দরজা খুলে দিতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ! তারপর বলা হল, তাঁকে স্বাগতম, খুবই উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর দরজা খুলে দেওয়া হল। ওখানে পৌঁছে ইয়াহয়া ও ঈসা (আলাইহিমুস সালাম) এর সাক্ষাত পেলাম। তাঁরা উভয়ে ছিলেন পরস্পরের খালাত ভাই। তিনি (জিবরীল) বললেন, ইনারা হলেন ইয়াহয়া ও ঈসা (আলাইহিমুস সালাম)। তাঁদের প্রতি সালাম করুন। আমি সালাম দিলাম। তাঁরা জবাব দিলেন। অতঃপর বললেন, নেক্‌কার ভাই ও নেক্‌কার নবীকে স্বাগতম। এরপর তিনি আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানের দিকে চললেন। সেখানে পৌঁছে জিবরীল বললেন খুলে দাও। তাঁকে বলা হল কে? তিনি উত্তর দিলেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হল আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ! বলা হল, তাঁকে স্বাগতম, খুবই উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর দরজা খুলে দেওয়া হল। আমি তথায় পৌঁছে ইউসুফ (আলাইহিস সালাম)- এর সাক্ষাত পেলাম। জিবরীল বললেন, ইনি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম), আপনি তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্‌কার ভাই ও নেক্‌কার নবীকে স্বাগতম। তারপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে নিয়ে উপরে চললেন এবং চতুর্থ আসমানে পৌঁছুলেন। অতঃপর দরজা খুলে দিতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হল আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ! বলা হল তাঁকে স্বাগতম, খুবই উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তখন দরজা খুলে দেওয়া হল। সেখার ইদ্রীস (আলাইহিস সালাম) এর সাক্ষাত পেলা। জিবরীল বললেন, ইনি ইদ্রীস (আলাইহিস সালাম)। তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি জবাব দিলেন। তারপর বললেন, নেক্‌কার ভাই ও নেক্‌কার নবীকে স্বাগতম। এরপর তিনি আমাকে নিয়ে উপরে চললেন এবং পঞ্চম আসমানে পৌঁছুলেন। অতঃপর দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি উত্তর দিলেন, মুহাম্মাদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। জিজ্ঞেস করা হল। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ! বলা হল, তাঁকে স্বাগতম, খুবই উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। সেখানে আমি হারূন (আলাইহিস সালাম) এর সাক্ষাত পেলাম। জিবরীল বললেন, ইনি হারূন (আলাইহিস সালাম), তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি উত্তর দিলেন এবং বললেন, নেক্‌কার ভাই ও নেক্‌কার নবীকে স্বাগতম। অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে চললেন এবং ষষ্ঠ আকাশে পৌঁছুলেন। অতঃপর দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরীলকো জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ! বলা হল তাঁকে স্বাগতম, খুবই উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। সেখানে আমি মূসা (আলাইহিস সালাম) এর সাক্ষাত পেলাম। জিবরীল(আলাইহিস সালাম) বললেন, ইনি মূসা (আলাইহিস সালাম)? তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি উত্তর দিলেন এবং বললেন, নেক্‌কার ভাই ও নেক্‌কার নবীকে স্বাগতম। অতঃপর আমি যখন সামনে অগ্রসর হলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি কিসের জন্য কাঁদছেন? তিনি বললেন, আমি এজন্য কাঁদছি যে, আমার পর এমন একজন যুবককে নবী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে, যার উম্মত আমার উম্মত থেকে অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানে গেলেন এবং দরজা খুলে দিতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, কে? বললেন, আমি জিবরীল। অতঃপর জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ! বলা হল, তাঁকে স্বাগতম, খুবই উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। সেখানে পৌঁছে আমি ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)- এর সাক্ষাত পেলাম। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, ইনি আপনার পিতা, তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্‌কার পুত্র ও নেক্‌কার নবীকে স্বাগতম। অতঃপর আমাকে সিদ্‌রতুল মুনতাহা পর্যন্ত উঠানো হল (সিদ্‌রতুল মুনতাহা হলো সর্বশেষ বরই বৃক্ষ, যেখানে সবকিছুকে থামতে হয়)। দেখতে পেলাম, ওটার ফল (বরই) হাজরের মটকার ন্যায় এবং তার পাতাগুলি হাতির কানের মত। আমাকে বলা হল, এ হল সিদরতুল মুন্‌তাহা। তো সেখানে আমি চারটি নদী দেখতে পেলাম (সিদরতুল মুন্‌তাহার মূল থেকে প্রসবিত)। তন্মধ্যে দুটি ছিল অপ্রকাশ্য, আর দুইটি ছিল প্রকাশ্য। তখন আমি জিবরীলকে জিজ্ঞেস করলাম, এ নদীগুলো কি? তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য দুইটি হল জান্নাতের নদী। আর প্রকাশ্য দুইটি হল নীল নদী ও ফুরাত নদী। তারপর আমাকে ‘আল-বায়তুল মামুর’ (কা’বা সদৃশ ফেরেশতাদের ইবাদত গৃহ) দেখানো হল। এরপর আমার সামনে একটি মদের পাত্র, একটি দুধের পাত্র ও একটি মধুর পাত্র পরিবেশন করা হল। আমি দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। তখন জিবরীল বললেন, এ-ই হচ্ছে ফিতরাত (ইসলাম)। আপনি ও আপনার উম্মতগণ এর উপর প্রতিষ্ঠিত। তারপর আমার উপর দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হল। অতঃপর আমি ফিরে এলাম। এই সময় মূসা (আলাইহিস সালাম)- এর সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কী আদেশ করেছেন? আমি বললাম, আমাকে দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হয়েছে। তিনি বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে সমর্থ হবে না। আল্লাহর কসম! আমি আপনার আগে লোকদের পরীক্ষা করেছি এবং বনী ইসরাইলের হেদায়েতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। তাই আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের জন‍্য কমানোর আবেদন করুন। তখন আমি উপরে ফিরে গেলাম (সিদরতুল মুনতাহায়)। এতে আমার জন‍্য দশ ওয়াক্ত কমানো হলো। অতঃপর আমি আবার মূসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট ফিরে এলাম। কিন্তু তিনি আগের মত কথাই বললেন। এতে আমি আবার ফিরে গেলাম (সিদরতুল মুনতাহায়)। ফলে আল্লাহ তায়ালা আরো দশ ওয়াক্ত নামাজ কমিয়ে দিলেন। অতঃপর আমি আবার মূসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট ফিরে এলাম। কিন্তু তিনি আবারো আগের মত কথাই বললেন। এতে আমি আবার ফিরে গেলাম (সিদরতুল মুনতাহায়)। ফলে আল্লাহ তায়ালা আরো দশ ওয়াক্ত নামাজ কমিয়ে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)- এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি আবার ঐ কথাই বললেন।আমি আবার ফিরে গেলাম (সিদরতুল মুনতাহায়)। তখন আমাকে দশ ওয়াক্ত সালাতের আদেশ দেওয়া হয়। আমি (তা নিয়ে) ফিরে এলাম। কিন্তু মূসা (আলাইহিস সালাম) আগের মত কথাই বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম। তখন আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হয়। অতঃপর মূসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি বললেন, আপনাকে কী আদেশ দেওয়া হয়েছে। আমি বললাম, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পাঁচ সালাত আদায় করতেও সমর্থ হবে না। আপনার পূর্বে আমি লোকদের পরীক্ষা করেছি। বনী ইসরাইলের হেদায়েতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের জন্য আরো সহজ করার আবেদন করুন। বললাম, আমি আমার রবের নিকট (অনেকবার) আবেদন করেছি, এখন আমি লজ্জাবোধ করছি। আমি এতেই সন্তুষ্ট হয়েছি এবং তা মেনে নিয়েছি। এরপর, আমি যখন মূসাকে (আলাইহিস সালাম) অতিক্রম করে অগ্রসর হলাম, তখন একটি আওয়াজ এল, আমি আমার ফরজ আদেশটি জারি করে দিলাম এবং আমার বান্দাদের উপর লঘু করে দিলাম।” [ছহীহ বোখারী (৩৬৭৪)]।

প্রসঙ্গত, নীল নদী আফ্রিকার উগান্ডা থেকে ইথিওপিয়া ও সুদান হয়ে মিসরে এবং সেখান থেকে ভূমধ‍্য সাগরে পতিত হয়েছে। আর ফুরাত নদী তুরস্ক থেকে সিরিয়া হয়ে ইরাক এবং সেখানে দজলা নদীর সাথে মিশে পারস‍্য উপসাগরে পতিত হয়েছে। এই দুই নদীর দ্বারেই খিজির (আ:) থাকেন বলে ধারণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর