1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বোচ্চ দামে নিলাম পেলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সিআইপি টেকনাফে ৭০ হাজার মানুষ বেকার- কর্মহীন : জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে টেকনাফের হ্নীলাতে নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন টাকা লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুর থানায় অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স টিমে যোগ দিলেন সাংবাদিক হাফেজ আহমদ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন টেকনাফে প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার পলায়ন হয়রানী মূলক মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ৫ শিশুর মা! হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের যুব সমাবেশ অনুষ্টিত টেকনাফে জমি বিরোধের জেরে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে প্রতি পক্ষকে স’ন্ত্রা’সী সাজানোর পাঁয়তারার প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণ শাখা’র সদর ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন। বন্যার্ত ৫’শ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন টেকনাফ নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

আত্মনির্ভরশীলতা (Self Reliant ) ও জীবনের বাস্তবতা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪৭২ বার পড়া হয়েছে

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।তৎমধ্যে ঈদুল ফিতর আগে হওয়ায় সবার একটু বাড়তি আগ্রহ থাকে।

শিশু কিশোর থেকে সব বয়সী মানুষের মধ্যে এই উৎসবের ইমেজ-আমেজ একটু বেশি পরিলক্ষিত হয়। যেমন ঈদের জন্য নতুন নতুন কাপড় কেনা,নানার বাড়ি,ফুফুর বাড়ি,মামার বাড়ি,বন্ধু -বান্ধদের বাড়ি, পুরাতন জায়গায় নতুন করে ভ্রমন করা এবং দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানো। আরো কত কী!

আমার পরিবারও এর বাইরে নয়। বিশেষ আমার দুই মেয়ে পুতুল ও মুক্তা এই বিশেষ দিন গুলোতে মা-বাবাকে নিয়ে ঘুরতে বেশ আগ্রহী। রমজান মাস শুরু হলে আমার ছোট্ট মেয়েরা পরিকল্পনার ছক আঁকতে শুরু করে। যা বাস্তবে রূপ দিতে আমি বধ্য চেষ্টা করে থাকি।

নিজেকে সুন্দর ও চমৎকাররূপে দৃশ্যমান করার চেয়ে মেয়েদের আবদার ও পরিলল্পনাগুলো বাস্তবায়নে দিনরাত কষ্ট করি।

বড় মেয়ে পুতুল বাহানা ধরেছে এবার ঈদে কোন নতুন পর্যটন স্পট বা সমুদ্র সৈকত অথবা অন্য কোন স্পটে গেলে নোহা বা যেকোন এসি গাড়ি নিয়ে যাবে। কারণ এখন অনেক বেশি গরমের দিন। পাশাপাশি নিজেকে একটু অত্যন্ত আধুনিক হিসেবে সবার কাছে দৃশ্যমান করারও একটা বিষয় আছে। বলে রাখি, আমার জীবনে আমি আমাদের মেয়েদের কোন আবদারে না বলিনি। কারণ মেয়েরা বাবার খুব আদরের হয়।

তবে মেয়ে তো আমার মনের ও পকেটের অবস্হা বুঝে না। এটা চিরন্তন সত্য যে,মধ্যবিত্ত ঘরনার মানুষগুলো নিজের সুখের চেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সুখ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে।

ঈদের চতুর্থ দিন বড় মেয়ে পুতুল বলল,বাবা নোহা গাড়ি নিয়ে আমরা ঘুরতে যাব। ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আমি চিন্তিত হয়নি। তবে ঘুরতে যাওয়ার বাহন নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়ি। পরক্ষণে একটু স্বাভাবিক হয়ে আমার মেয়েকে বললাম,হ্যাঁ মা,আমরা অবশ্যই ঘুরতে যাব তবে নোহা নিয়ে নয়। আমরা যাব টমটম নিয়ে।

মেয়েকে বললাম,নোহা বা এসি গাড়ি নিয়ে গেলে তোমাদের বমিবমি ভাব লাগবে, মাথা ঘুরাবে। তোমরা প্রাকৃতিক দৃশ্য সুন্দরভাবে দেখতে পারবে না এবং মুক্ত বাতাসের স্পর্শতা তোমরা অনুভব করতে পারবে না।

আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছোট্ট মেয়ে আমার কথা মেনে নিল। বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি টমটমে উঠে আমরা ঘুরতে বের হলাম। বড় মেয়ে পুতুল যাত্রাপথে আমাকে তার ছোট্ট মনের অনেক অনুভূতির কথা শেয়ার করল। মেয়ে বলল, বাবা টমটম নিয়ে চড়তে আরাম লাগছে,মুক্ত বাতাস পাচ্ছি। আরো কতই না কথা বলল। তৎমধ্যে একটা কথায় আমার চোখের জল এসে যায়,যা আমি আমার মেয়েকে খেয়াল করতে দিই নি। মেয়ে বলল,বাবা আজকে যারা টমটম চড়ছে তারা একদিন এসি গাড়ি চড়বে আর যারা এসি গাড়ি চড়ছে তারা একদিন টমটম চড়বে। তাই না বাবা! আমি বললাম হ্যাৃঁ মা। মেয়ে কী বুঝাতে চেয়েছেন পাঠক মনে ধরতে পেরেছেন! (যেটাকে বলে কপালের লিখন)

আসলে আমার মেয়েকে এতকিছু বলার পেছনের কারণ আমার মেয়ে বুঝতে না পারলেও পাঠকরা কিন্তু ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন। আমরা যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ আছি, তাদেরকে একটা রুটিন ও কিছু নিয়মাদি মেনে চলতে হয়। যেটার উপর ভিত্তি করে আমাদের ভবিষ্যৎ এর কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করতে হয়।

আর একটা বিষয় উল্লেখ করি,আমি চাইলে আমার মেয়ের আবদার আমি অন্য কোন উপায়ে রাখতে পারতাম। কিন্তু আমি তা করিনি। কারণ আমি যদি তার এই আবদার রাখি, তাহলে পরবর্তী বিশেষ দিনগুলোতে আমার কাছে একই আবদার সে করে বসবে। তখন আমার না বলার কোন উপায় থাকবে না। আমরা যারা মধ্যবিত্ত,তাদের স্বপ্ন দেখা ও জীবনের চাওয়া-পাওয়াগুলোও একটা গন্ডিতে আবদ্ধ। বেশি চাওয়া ও বেশি পাওয়ার আশা করা আমাদের জীবনে বেমানান।

আমি আমার মেয়েকে মধ্যবিত্ত বাবার জীবনের বাস্তব অবস্হা সরাসরি বুঝতে দিই নি। তবে আমার সাথে চলতে চলতে জীবনে বাস্তবতা নিজে উপলব্ধি করতে পারে যেন,সেটার শিক্ষা ও দীক্ষা দিচ্ছি।
আমি চাই আমার মেয়েরা জীবনকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত না করে সঠিক পথে চলে নিজের জীবনকে গড়ে তুলবে।

ইনশাআল্লাহ, আমি উত্তম সহায়ক হিসেবে তাদের পাশে থাকব। যদি সৃষ্টিকর্তা আমার প্রতি এবং আমার পরিবারের প্রতি সহায় হোন।

 

লেখক- সাইফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক টেকনাফ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর