নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ হোসাইনের দাফন টেকনাফে মৌলভীবাজারে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার এলাকার বাসীন্দা ফরিদ আহাম্মদের ছেলে। সে ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে হ্নীলা মৌলভীবাজার জমিরিয়া দারুণ কুরআন সিনিয়র মাদরাসার মাঠে তাহার জানাযা সম্পন্ন হয়। পরে নাইক্যংখালী তাদের পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে জানাযার নামাজের পূর্বে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দীন মজুমদারের নেতৃন্তে একদল চৌকস
পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ মডেল থানার এস আই ফাসাল, এ এস আই আল আমিন সহ অনেকেই।
এদিকে পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ হোসাইনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাহার নিথর দেহটি একবার দেখার জন্য দলে দলে ছোটে এসেছেন এলাকা বাসী, বাল্যকালের বন্ধু, তাহার কর্মস্থলের প্রিয় সহকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ। তাহারা সকলে বলেছেন, কর্মজীবনে বা জীবদ্দশায় কারো সাথে কোন রূপ খারাপ আচরণ করেননি হোসাইন । সকলে তাহার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দীন মজুমদার জানান, আমাদের পুলিশ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে তাহার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তার জানাযা ও দাফনের কাজ সম্পন্ন করে থানায় ফিরেছি।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, নিহত পুলিশ সদস্য হোসাইন আমার ইউনিয়নের ছেলে। সে পুলিশ বাহিনীতে যোগদিয়ে আমাদের ইউনিয়ন বাসীকে কে ধন্য করেছিল। কিন্তুু তাহার মর্মন্তিক মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দেন সে কামনা করছি।
নিহত পুলিশ কনস্টেবলের ভাই মোহাম্মদ হাসান জানান, আমরা চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সে চার নাম্বারের। পরিবারে সকলের আদরে ছিল কিন্তুু সে। তিনি আরো জানান, পরিবারের সকল ভাই -বোন যখন একত্রিত হতাম সে আমাদের বলত আমি কনস্টেবল এ যোগদান করলেও একদিন বড় পুলিশ অফিসার হয়ে দেশের সেবা করব। আমার ভাইয়ের সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না । শুধু তা নয় আমার বেশি মনে পড়ছে সে বিবাহ করার জন্য যে দিন পুলিশ অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসার কথা সেদিন কেন লাশ হয়ে বাড়ি এল সেটা। ভাইয়ের মৃত্যুর পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের যে সহযোগিতা করেছে সে জন্য আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানায়।
গত রোববার (২৭ আগস্ট) পুলিশের দায়িত্ব
পালন কালে বেলা ১টার দিকে চট্রগ্রামের সলিমপুর- ফকিরহাট রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের একটি টহল ভ্যানে থাকা ৩ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। সে দুর্ঘটনায় নিহত ৩জনের মধ্যে টেকনাফের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইনও একজন।
Leave a Reply