মোঃ আরাফাত সানি, টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফ সাগর উপকূলে টানা জালের মহৌৎসব চলছে। শীতকালে ১৫ নটিকেল মাইল সাগর উপকূলে ছোট জাতের বিভিন্ন প্রজাতির বেশির ভাগ মাছ টানা জালে ধরা পড়ে। সাগর শীতল থাকায় ছোট জাতের বিভিন্ন মাছ উপকূলে চলে আসে। এ সুযোগে ছোট জাতের মাছ খাওয়ার জন্য বড় বড় মাছ উপকূলে আসলে অনেক সময় টানা জালের লম্বা থলের ভিতর আটকা পড়ার পর মৎস্যজীবী জেলেদের ভাগ্য খুলে যায়। যেন জেলেদের জালটি সোনার হরিণে পরিনত হয়।
গত বছর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এক জেলের জালে ২১লাখ টাকার দামে কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছিল। অপর দিকে সেন্টমার্টিন দক্ষিণ পাড়ার এক জেলের টানা জালে ১২ লাখ টাকার দামে লাল কোরাল মাছ ধরা পড়ার পর অসহায় জেলে এক দিনে অভাব মুক্ত হয়। এবার টেকনাফ সাগর উপকূলের এক জেলের টানা জালে বৃহৎ আকারের বোল মাছ ধরা পড়েছে। ৮ জানুয়ারি ভোর সকালে সাগর উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীর এক মৎস্যজীবী জেলের টানা জালে এ ভুল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ২০০ কেজি। টেকনাফ পৌরসভার মাছ ব্যবসায়ী মোঃ ইউনুছ মাছটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করে এবং প্রতি কেজি ১৫ শত টাকায় বিক্রি করবে। এমন তথ্য দিয়ে টেকনাফ পৌর শহরে মাইকিং এ প্রচার করার পর টেকনাফ পৌর শহর মাছ বাজারে কেজিতে ১৫ শত টাকা করে বিক্রি হচেছ। প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন,অতীতে সরকারিভাবে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকার পর বড় মাছগুলো বড় হয়ে যায়। টানা জালে আটকে পড়া বৃহৎ আকারের বড় বোল মাছটি সুস্বাদু এবং এর পদনা এবং থলের দাম বেশি। তাই এই মাছ কে সোনার হরিণ বলা হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের মতে এ মাছের থলে ও পদনা সুতা করে অপারেশনের জন্য খুবই উপকারী। মাছটিএক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার বীড় জমেছে। ২০০ কেজি ওজনের একটি বোল মাছ ধরার খবর শুনেছি। সাধারণত এত বড় মাছ ধরা পড়ে না। তবে শীত মৌসুমে ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত বোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে। এ মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম রায়মাস বোলা। তবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এটির নাম বোল মাছ বলে।###
Leave a Reply