এবার মাদক গডফাদারের তালিকায় নাম পাওয়া গেছে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির পরিবারের আরও দুই সদস্যের। গত দুবছর অনুসন্ধান করে মাদক কারবারে জড়িত ১২২ জনকে গ্রেফতারের পর ১০ জন গডফাদারকে চিহ্নিত করেছে জানিয়ে আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে মাদক আন্ডারওয়ার্ল্ডে পরিচিত ব্যাখ্যা দিয়ে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদির পরিবারেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার কথা জানায় সিআইডি। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের নাম পায় তারা। সব সাক্ষ্যপ্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানায় সিআইডি।
সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমার বক্তব্য তুলে ধরলামে আব্দুস শুক্কুর সিআইপি।
তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমার বক্তব্য তুলে ধরলাম।
জাতির বিবেক সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ ও আমার এলাকার সম্মানিত সচেতন নাগরিক গণ আসসালামু আলাইকুম।
আমি অত্যান্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে নিচের বক্তব্য তুলে ধরতে বাধ্য হলাম। আপনারা জানেন আমার বাবা মরহুম আলহাজ্ব এজাহার মিয়া কোম্পানি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন এবং টেকনাফ উপজেলা পরিষদেরও নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলে। আমার বাবা বৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পদের মালিক ছিলেন। বড় ভাই আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি জামাত বিএনপির জোট সরকারের তৎকালীন মন্ত্রীর প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও স্থানীয় জনসাধারণের অভূতপূর্ব সমর্থনে বিপুল ভোটে টেকনাফ পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়ে ছিলেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য হিসাবে উখিয়া টেকনাফ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এরপর ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনেও আমার ভাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর আমার বড় ভাবী অর্থাৎ সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদির সহধর্মিণী শাহিনা আক্তার দুই বার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
গত পৌরসভা নির্বাচনে আমি টেকনাফ পৌরসভা থেকে আমার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম৷ কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থীকে সম্মান জানিয়ে আমার চাচাকে নৌকা প্রতিকে টেকনাফের মানুষের ভালবাসায় বিপুল ভোটে ওনাকে বিজয়ী করেছি৷
আমাদের দীর্ঘ রাজনেতিক পথচলায় আলহামদুলিল্লাহ আমরা সফল হয়েছি। তবে ষড়যন্ত্রকারী একটি কুচক্রী মহল সবসময় আমাদের এবং পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা ও আমার এলাকার জনগণ, আমার বাবার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সামাজিক রাজনৈতিক শত্রু ছিল। বারবার আমার পিতা কে যেমন নানা ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন সময় আমার বাবা এবং আমার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে এলাকার সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় আমার বাবা এবং ভাইয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে পারেনি।
আজ ১৭ এপ্রিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান জনাব মোহাম্মদ আলী সাহেব একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আমি এবং আমার ভাই আমিনুর রহমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আমাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তাহা সম্পর্কে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণআমরা বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইন মেনে আমার পিতা মৃত্যুর আগপর্যন্ত এবং আমার বড় ভাই এর পাশাপাশি আমি এবং আমার ভাইয়েরা বাণিজ্য করে যাচ্ছি। বাণিজ্যে আমি পরপর কয়েক বছর জেলার সর্বোচ্চ কর দাতা হওয়ায় সরকার আমাকে পাঁচ(৫)বার সিআইপি মর্যাদার সম্মাননা প্রদান করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দীর্ঘ আট বছর আমাদের জ্ঞাত অজ্ঞাত অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর তদন্ত করেছে কিন্তু আমাদের অবৈধ কোন সম্পদের খদিস না পাওয়ায় দুদকে করা অভিযোগ থেকে আমাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। যার কপি আপনাদের জ্ঞাতার্থে আমার ফেসবুক পোস্টে সংযুক্ত করে দিলাম।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা ও আমার এলাকার সচেতন শিক্ষিত মহল বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) কল্পনা প্রসূত আমাদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। যার মামলা নং জিআরজি,আর ২৯৮/২০ইং।
উক্ত মামলায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, আমরা নাকি অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অনুমান ৩ কোটি টাকার ইয়াবা বিক্রি করেছি। সে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছি। আজ সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান এমনটাই বক্তব্য রেখেছেন ।
এই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হল, তিনি যদি অভিযোগ পেয়ে থাকেন তাহলে সিএস দাখিল করতে এতো গড়িমসি কেন? আমরাও চাই সিআইডি প্রধান আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পেয়েছেন বলে সাংবাদিক ভাইদের জানিয়েছেন সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে সিএস দাখিল করুক আমরা আদালতে আইনি মোকাবিলা করে প্রমাণ করবো আমরা নির্দোষ। যদি তাঁর অভিযোগ সঠিক হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক প্রমাণ করবেন আমরা দোষী না নির্দোষ।
সম্মানিত এলাকা বাসী এবং জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অতীতেও এমন অনেক ধরনের মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা করেছিল মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় আমাদের বিরুদ্ধে আনা কোন ধরনের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবেনা ইনশাআল্লাহ। সুতরাং আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া কারোর বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করবেন এবং আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। দিনশেষে জয় আমাদের বা সত্যেরই হবে ইনশাআল্লাহ।
আমি বিবৃতি দাতা আপনাদেরই একান্ত স্নেহধন্য
আবদু শুক্কুর সিআইপি
পিতা মরহুম আলহাজ্ব এজাহার মিয়া কোম্পানি
সাং অলিয়াবাদ, টেকনাফ পৌরসভা, টেকনাফ-কক্সবাজার।
তারিখ:- ১৭/০৪/২০২৪ ইং।
তারিখ:- ১৭/০৪/২০২৪ ইং
####
Leave a Reply