মৌলভীবাজারের রাজনগরে অসৎ উদ্দেশ্যে ১৫৩ জন রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন করায় ১ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ফতেপুর ইউনিয়নে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের ঘটনায় চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্থানীয় সরকার বিভাগকে সুপারিশ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৪ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব একেএম আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্রের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শরিয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয় বিবি (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক হন। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তিনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। ওই জন্মনিবন্ধনটি রাজনগরের ফতেপুর ইউনিয়ন থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর নিবন্ধিত। বিষয়টি যাচাই করতে কর্তৃপক্ষ নিবন্ধনপত্র রাজনগরের ইউএনওর কাছে পাঠালে ১৫৩টি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন শনাক্ত করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস সার্ভার হ্যাক হয়েছে উল্ল্যেখ করে রাজনগর থানায় জিডি করেন।
তবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, জন্ম নিববন্ধন সার্ভারের কার্যক্রম ওটিপি ভিত্তিক। ওটিপি পাওয়ার পর তথ্য যাচাই করে চেয়ারম্যানকে নিবন্ধনের সুপারিশ করতে হয়। তাই ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া জন্মনিবন্ধন করা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুকল চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, শুনেছি এমন একটি চিঠি ইসু্যূ করা হয়েছে। তবে এখনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।###
Leave a Reply