নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
টেকনাফের হ্নীলা বাজার ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবসায়ী সমিতি লিঃ এর উদ্যোগে ঈদপরবর্তী এক শুভেচ্ছা বিনিময়ও আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে হ্নীলা বালিকা
উচ্চবিদ্যালয় হল রুমে তা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজের পরিচালনায় ও ডিস্ট্রিভিউটর সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হ্নীলা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন , বাজার পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য মুফিজুল আলম, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী, বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণসমিতি সাধারণ সম্পাদক ও হ্নীলা বাজার ডিস্ট্রিভিউটর সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু বকর আল মাসুদ, হ্নীলা ও লেদা বাজারের ইজারাদার রফিকুল আলম চৌধুরী প্রমূখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখছেন, সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সমিতির সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র সদস্য মাষ্টার শাহজাহান। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা ইমরান মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন জুয়েল, ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির অর্থ সম্পাদক সাইফুদ্দিন, ইজাদার আব্দুল্লাহ সহ ব্যবসায়ী ও ডিস্ট্রিবিউটর সমিতির নেতৃবৃন্দ।দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথি ও সকল সদস্যদের মাঝে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি রাসেদ বলেন, হ্নীলা বাজারের ব্যাবসায়ী হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি বলব সকল ব্যবসায়ীও ইজারাদার মিলেমিশে যদি আমরা ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করি তাহলে আমাদের সকলের কল্যাণ হবে। তাই সবাই কে কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে হ্নীলা বাজারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে,এখানে কেউ কারো প্রতিপক্ষনয়।
সকলে ভাই ভাই আর ওই ঐক্য সৃষ্টি করার জন্য আমার যে ভাবে সহযোগিতা করতে হবে তা আমি করব।
এসময় ডিিস্ট্রিভিউটর ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, হ্নীলা সহ সংশ্লিষ্ট একাধিক বাজারের ইজারাদার একই ব্যক্তিহওয়ায় তারা আমাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে ইজারা আদায়ে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। যেমন আমরা হ্নীলা বাজার ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবসায়ী।
ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে আমাদের কাছে বিভিন্ন কোম্পানী ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য কমিশনের ভিত্তিতে মালামাল পাঠায়। ঐ মালামাল গুলো ঢাকা,চট্টগ্রাম থেকে যখন আমাদের কাছে কোম্পানীর গাড়ী যোগে আসে তখন গাড়ীগুলো আন লোর্ড করার সময় ইজারাদার সংশ্লিষ্ঠরা প্রতি গাড়ী ৫০০ টাকা করে নেয়।
আবার একই মালামাল গুদাম থেকে সংশ্লিষ্ট পাশ্ববর্তী বাজারে ডিস্ট্রিবিউশন করার জন্য টমটম বা অটো যোগে নিয়ে গেলে ওখানেও একই ইজারাদার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ১০০ টাকা করে নেয়। এই ভাবে একের পর এক হয়রানীর কষাঘাতে হ্নীলা বাজার ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবসায়ীরা। এসব হয়রানী থেকে বাঁচতে ডিস্ট্রিভিউটর ব্যবসায়ী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবসায়ীদের বক্তব্য খন্ডন করতে বাজার ইজারাদার এডভোকেট রশিদুল আলম চৌধুরীর বড় ভাই রফিকুল আলম চৌধুরী বলেছেন, কিছু কুচক্রিমহল বাজার ইজারা নেয়ার সময় নিকোজিশনে না আসার কারণে বাজার ডাক মূল্য সর্বোচ্চ রেটে ছাড়িয়েছে। তাই আমার টাকা উঠাতে আমাকে এসব কিছুর আশ্রয় নিতে হচ্ছে তা নাহলে আমাকে স্যারেন্ডার করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
Leave a Reply