কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ এলাকায় মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি জোরপূর্বক জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় মসজিদের মুতাওয়াল্লী ও মুসল্লীগণ জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে-বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রালয়ের অধীনে টেকনাফ মৌজার বি,এস-১৯৮ নং খতিয়ানের অধীন বি,এস-২০০৪,২০০৫ ও ২০০৮ নং দাগের ৪ একর ৩৫ শতক জমি আবদুল নবী সওদাগর ওয়াকফ এস্টেট নামে (ই/সি নম্বর-১২২৫৩) তালিকাভূক্ত রয়েছে এবং দক্ষিন জালিয়া পাড়া মসজিদের পক্ষে মোতয়াল্লী আবদুল গণি পিতা-আইয়ুব আলী, নামে চূড়ান্ত প্রচার আছে।
দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত ওয়াকফকৃত জমি মসজিদ পরিচালনা কমিটি চাষাবাদ করে আসছে। সম্প্রতি জমি জমার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল এলাকার আবুল হোছনের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে লেড়–র (৪৫) নেতৃত্বে রাতের আধাঁরে ঘেরাবেড়া দিয়ে স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তাসহ জমিখানা জবর দখল করে রাখে। স্থানীয় মুসল্লী ও মোতয়াল্লীর পক্ষে অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম জানান-ভূমিদস্যু নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকার লোকজনের চলাচলের রাস্তাসহ ঘেরাবেড়া দিয়ে মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি জবরদখল করে তার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মসজিদের জমি দখল সংক্রান্ত স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতে শালিস বৈঠকে জমির ঘেরাবেড়া উচ্ছেদ করা হলেও পরের দিন রাতে আবারও সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ করে দিনরাত পাহাড়া বসিয়েছে। জমি উদ্ধারে আমরা উপজেলা প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি এবং অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করার দাবী করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম জানান- সালেহ আহমদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আমি দশ শতক জমি ক্রয় করেছিলাম। বর্তমানে সেই জমিতে দখলে গিয়েছি।
জমি বিক্রেতা সালেহ আহমদ জানান-মাত্র দেড় লাখ টাকা দিয়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম প্রকাশ লেড়ু প্রতারণা করে জমি রেজিষ্ট্রি নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি জানান, হারুন নামে এক ব্যক্তির সাথে অন্যত্র দশ শতক জমির বায়না করি পরে তার সাথে সেই জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করি। কিন্তু কিছুদিন পর জানতে পারি হারুন ও লেড়ু নয় প্রতারনা করে দলিলে আমার বসতভিটার দাগ বসিয়ে দিয়েছে এবং এরপর তারা এই জমি দখল করে। তিনি আরো জানান, খরিদসূত্রে তিনি দশ শতক জমির মালিক হলেও দিয়ারা জরীপে তার নামে ২১ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে। এব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আদনান চৌধুরী জানান-অভিযোগ পেয়েছি, ওয়াকফ জমি কেউ জবর দখল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###
Leave a Reply