1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

টেকনাফ পৌর সচিব-প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি-আত্মসাতের অভিযোগ, পদ প্রত্যাহার চায় শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।

 

টেকনাফ পৌর সচিব মহিউদ্দিন ফয়েজির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগে পদ প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও সচিবের নেতৃত্বে প্রধান সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত একাউন্টিং মোরশেদুল আলম অদৃশ্য ক্ষমতা ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টিং পদ শূন্য থাকা সত্বেও সেটির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করে বেতন ভাতা সহ নানা অনিয়ম দূর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান তারা।

 

শিক্ষার্থীরা জানায় ওই সচিবের বিরুদ্ধে পৌরসভার যেকোন উন্নয়ন মূলক কাজে হতে ৩শতাংশ কমিশন খাওয়া, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কর্মচারী নিয়োগ, নাগরিকদের জন্যে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন এনজিওর অনুদান আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সহ বিভিন্ন সনদপত্র বাবদ অতিরিক্ত ফি আদায়, স্থানীয় পৌর নাগরিকদের সাথে খারাপ আচরণ, জনগনকে অপেক্ষমান রেখে নিজের ক্ষমতাশক্তিতে ঘুমানো, এনজিও কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া-পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন হতে অর্ধেক বেতন আত্মসাৎ, পৌরসভার বিশুদ্ধ পানি সাপ্লাই প্রজেক্ট সংস্কার কাজে ৮০ হাজার টাকা খরচের পরিবর্তে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিল করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, এই অভিযোগ গুলোর ভিত্তিতে তাকে পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবি এবং ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

 

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনেক ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন, অভিযোগ উঠেছে উক্ত সচিবের নেতৃত্বে প্রধান সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত একাউন্টিং মোরশেদুল আলম অদৃশ্য ক্ষমতা ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টিং পদ শূন্য থাকা সত্বেও সেটির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করে বেতন ভাতা সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি লুটপাটের মধ্যে জড়িয়ে থাকার জনশ্রুতি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কাউন্সিলর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম মানিক জানান, পদ শূন্য থাকা সত্বেও অ্যাকাউন্টিং পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, মোরশেদুল আলম ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এছাড়া কাউন্সিলরদেরকে জনসাধারণের সেবা থেকে বঞ্চিত রেখে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নিজেরা অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে  প্রদান করতো যা সম্পূর্ণ  আইনবিরোধী। নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ তাদের কারণে জনগণকে পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারেনি, অনেক সময় সাধারণ জনগণকে রোষানলে পড়তে হয়েছে।###

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!