হ্নীলা সংবাদ দাতা
টেকনাফর হ্নীলা পানখালী ৪নং ওয়ার্ডের শিয়াল্যা মুড়া এলাকার এক অসহায় নারীর বাড়ি ঘর ভাংচুর ও টাকা লুটপাট এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার উক্ত ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বুলবুলা আক্তার বাদি হয়ে মৃত বেলালের ১ম স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫০) তাহার দুই সন্তান নোমান মুর্শেদ (২৮) ও আরমান মুর্শেদ (১৯) কে বিবাদি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানাগেছে। নির্যাতিত ও ভাংচুর কৃত বাড়ির মালিক মৃত বেলাল এর ৩য় স্ত্রী।
এলাকা বাসী জানায়, পানখালী এলাকার মৃত বেলাল এর তিন স্ত্রী ছিল। কিন্তুু তিনি মৃত্যুর পরে তাহার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ৩ স্ত্রীর সকল সন্তানদের ইসলামী শরীয়ত মাফিক ভাগ বন্টন করে দেন। যা তরা পরম সুখে ভোগ করছিরেন। কিন্তুু হঠাৎ বৃহস্পতিবার দিন বড় স্ত্রীর সন্তানেরা ছোট মা ( অর্থাৎ সত মারের ছেলেরা) এর বড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে টাকা পয়সা নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ছোট স্ত্রী বুলবুল আক্তার কে নির্যাতনের সময় মাঠিতে পড়ে গেলে অজ্ঞান হওয়ার পর বড় স্ত্রীর সন্তানেরা বা বিবাদিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে বুলবুল আক্তার কে উদ্ধার করে স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে আশ্রয় দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনক প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, বড় বউয়ের ছেলেরা ছোট বউ বুলবুল আক্তার কে এমন মরধর করছে যা আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগকে হার মানিয়েছে। এক জন অসহায় নারীকে সত মায়ের ছেলেরা এভাবে নির্যাত করে তা কখনো দেখিনি। আমি প্রসাশনের প্রতি অনুরোধ জানাব তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বুলবুল আক্তার জানান, আমার সতীনের ছেলেরা আমার বাড়ি ঘর ভেঙে দিয়েছে, মাত্র ক দির আগে ডিপিএস ভাংঙার টাকা সহ জমা কৃত সব টাকা লুট করে নিয়েছে, পাশাপাশি আমাকে মধ্যযুগীয় কায়দারী নির্যাতন করলে আমি যখন অজ্ঞান হয়ে যায়, আমাকে মৃত মনে করে ফেলে পালিয়ে যায়। আমার সমস্ত শরীর থেতলে করে ফেলেছে নির্যাতন কারিরা । আমি টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের কাছে ও সরকারের কাছে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে বিবাদীদের বক্তব্য জানতে নোমান মুর্শেদ এর সাথে মুঠোফোনে জানান, আমার স্ত্রীর স্বর্ণ ও ভাইয়ের টাকার জন্য আমাদের সাথে আমার সত মায়ের কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার দায়িত্ব রত কর্মকর্তা জানান, বাদির অভিযোগে প্রেক্ষিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply