ফারুকুর রাহমান, টেকনাফ।
কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ২.১৩০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা, গাঁজা ৬ জন মাদক পাচারকারীকে আটক সহ ১টি সাম্পান নৌকা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকার বাসিন্দা নুর হাবিবের ছেলে মো. ফয়সাল (২০), একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. আরমান (২০), আব্দুল মোনাফের ছেলে মো. বুখার উদ্দিন (৩০), জহির আহাম্মদের ছেলে মো. শফিক উদ্দিন (২১), লেঙ্গুরবিল এলাকার ওয়াস করনীর ছেলে জসিম উদ্দিন (২১) ও কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পের আব্দুর সাত্তারের ছেলে মো. কামাল হোসেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বিআরএম-৩ হতে আনুমানিক ০৩ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে নাফ নদীর মোহনা হতে এসব মাদকদ্রব্য সহ কারবারিদের আটক করা হয় বলে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
বিজিবির ওই কর্মকর্তা জানান, প্রযুক্তিগত নজরদারির মাধ্যমে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ সাপেক্ষে বিআরএম-৩ হতে আনুমানিক ৩ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে নাফ নদীর মোহনা দিয়ে মায়ানমার হতে ইঞ্জিন চালিত সাম্পান নৌকার সাহায্যে আসা মাদকের একটি চালান গতিবিধি শনাক্ত করা হয়। সন্দেহভাজন নৌকাটি শূন্য লাইন অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে ২ বিজিবির একটি বিশেষ দল জলযান ফ্যান্টমের সাহায্যে গভীর সাগরে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় গভীর সাগরে নৌকাটি ধাওয়া করলে মাদক পাচারকারী দলটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশি করে নৌকার ভিতর হতে ৬ জন আসামিসহ ২.১৩০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, এবং স্বল্প পরিমাণ গাঁজা পাওয়া যায়। এছাড়াও আটক আসামিদের নিকট হতে ৪টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে বর্ণিত নৌকাটিও আটক করা হয়। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সময়ে মায়ানমার নাগরিক, মাদকদ্রব্য এবং বাংলাদেশি পণ্য সামগ্রী চোরাচালান ও মাদক পাচারের সাথে যুক্ত।
উল্লিখিত সকল আসামিদের জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, মোবাইল ফোন এবং নৌকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply