সংবাদ দাতা
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রোজার ঘোনা এলাকায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে বিদ্যুৎ শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মাস ধরে নির্যাতনের পরে বুধবার রাতে স্বামীর মার ধরে বা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা সন্দেহ হলে-ও জানাজার পূর্বে মৃতের গোসল করার সময় স্বজনেরা চেক করলে পায়ের হাটুর মধ্য খানে বিদ্যুৎ শটের পুড়া বা দাগ দেখা যায়। যা দেখে সকালে বিদ্যুৎ শটের দাগ নিশ্চিত করেন।
নিহত লুলুয়ান মরজান হিরা ( ১৭) হ্নীলা পূর্ব সিকদার পাড়ার মাস্টার মীর কাশেম এর মেয়ে। পিতা মীর কাশেম পানখালী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। বুধবার (১৪ মে) ভোরে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি টিম লাশ টি স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ মাস আগে রোজার ঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের (২২) সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় হিরার। তা কোন ভাবে মেনে নিয়ে আগামী কোরবানের পরে বিয়ের বিষয়ে পারিবারিক ভাবে সামাজিক শিষ্টাচার মেনে সম্পন্ন করার কথা। কিন্তুু পাষান্ড স্বামী মাস ৩ মাস যেতে না যেতে স্ত্রীর সাথে যৌতুকের বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয় স্বামীর। । যা নিহত হিরা নিজ পিতার পরিবারে ভাই বোনদের বলতেন যৌতুক স্বামীর ঘরে তাড়া তাড়ি পুষিয়ে দিতে। না হয় আমাকে স্বামী রাখবেনা বলে জানায় । যার কারণে প্রতিনিয়ত স্বামী আর স্ত্রী যৌতুকের বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে যেত বলে জানা যায়। অবশেষে বুধবার রাতেই তাকে বিদ্যুৎ শট দিয়ে হত্যা করেন স্বামী পরিবার।
নিহতের দুলা ভাই নুরুল ইসলাম জানান, গভীর রাতে আমাকে নিহত হিরার স্বামী আব্বাসের বড় ভাই জমির উদ্দিন মোবাইলে ফোন করে বলেন, আপনার ছোট বোন হিরা আত্নহত্যা করেছে, এখন আমরা কি করতে পারি বলে খবর দেন। ভোরে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পথে আমরা পৌছি। পরে পুলিশ কে কোন মতে বুঝিয়ে থামিয়ে হিরার স্বামীর ঘরে গিয়ে হত্যার বিষয়ে জানানর চেষ্টা করি।
নিহত মরজান হিরা কে গোসল দান কারি, শাহেনা ও হাসিনা বেগম জানান, হিরা কে গোসল করার সময় আত্নীয় স্বজনেরা তাহার শরীরে কোন নির্যাতনের চিহ্ন আছে কি না খোঁজ করতে বলে আমরা দেখি তাহার পায়ের হাটুর মধ্য খানে বিদ্যুৎ শটের দাগ রয়েছে, যা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোঃ আলী জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি এলাকার মুরব্বিরা আমাকে জানিয়েছেন। দোষীকে সনাক্ত করে আইনের দাবি জানাচ্ছি শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, ঘটনা শুনে সরজমিনে গিয়ে পুলিশ ভোরে লাশ উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যে সুরতাল কার্যক্রম শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা মর্গে প্ররণ করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়া দিন।
Leave a Reply